৪২ দিন ধরে জেলে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ পরিচয়ে তিনি ফুরফুরা শরিফের (Furfura Sharif) পীরজাদা৷ এমনিতে শাসক দলের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের ঘনিষ্ঠতার কথা পূর্বে শোনা গেলেও নওশাদের গ্রেফতারির পর তা অতীত৷ এরই মধ্যে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে মন্ত্রী স্নেহাশীস চক্রবর্তীর উপস্থিতিকে ভালোভাবে দেখছেন না আব্বাস সিদ্দিকি।
আইএসএফের নেতা হিসেবে পীরজাদা নওশাদের আলাদা করে পরিচিতি থাকলেও, ধর্মীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত পীরজাদা আব্বাসের ক্যারিশমাও কিছুটা রয়েছে৷ নওশাদের গ্রেফতারির পর শাসক দলের সংখ্যালঘু ভোটে টান পড়েছে। একথা বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই দলের নেতাদের নিয়েও বৈঠক করেছেন তিনি। এখন আবার শাসক দলের নেতাদের নিয়ে আব্বাসের মন্তব্য নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে৷
আগামী কয়েক দিন ধরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান রয়েছে ফুরফুরা শরিফে৷ সেখানে শাসক দলের নেতাদের আগমনের আগেই আব্বাসের বার্তা, শাসকদলের কেউ যদি আসেন, তাহলে তিনি সুস্থ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আসবেন। নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষিপ্ত। কেউ এলে তাঁদের সঙ্গে কোনও মানুষ দুর্ব্যবহার করলে বাংলার মাটিতে ফুরফুরা শরিফের দুর্নাম ছড়িয়ে যাবে। লাখো ভিড়ের মাঝে কেউ যদি ক্ষোভ সামলাতে না পারেন বা তাঁদেরই সাজানো লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফুরফুরা শরিফের বদনাম করতে চেষ্টা করবে৷
একইসঙ্গে ভাই নওশাদকে নিয়ে তাঁর বার্তা, নওশাদ মানুষের জন্য রাজনীতি করতে নেমেছে। ধর্মের জন্য নয়। শাসকদল বুঝতে পেরেছে মানুষ শাসক দলের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। যাঁরা আসছেন, তাঁরা ফুরফুরা শরিফকে বদনাম করতে আসছেন। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার জন্য দায়ী তাঁরাই থাকবেন।
সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরানো হয়েছে। তপন দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ফুরফুরা যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷ ঠিক তার আগেই আব্বাস সিদ্দিকির বার্তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে।