শুধু দেশেই নয়, হংকং-এ নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয় সন্দীপ

আরজি কর কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। ইতিমধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে তিনি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ যে তাঁর অপরাধের জাল…

RG kar ex principle sandip ghosh is also accused of made crime in queen elizabeth hospital in Hongkong

আরজি কর কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। ইতিমধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে তিনি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ যে তাঁর অপরাধের জাল দেশের বাইরেও ছড়িয়ে রেখেছে সেটা অজানা ছিল অনেকেরই। কিন্তু চিনের একটি দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র একটি খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

মঙ্গলবারের মধ্যে ‘ডিউটি’তে যোগ দিতে হবে…., জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া ‘সুপ্রিম’ বার্তা

   

চিনের ওই নামী সংবাদপত্রের দাবি, হংকংয়ে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে এক নার্সকে শ্লীলতাহানি করেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। ইয়া মিউ তেই নামের ওই নার্সের অভিযোগ, হাসপাতালে পোশাক বদল করছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কাছে আসেন একজন ‘ভারতীয় ডাক্তার’। তারপর কথা বলার অছিলায় তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তারপর তাঁর নিতম্ব ও গোপন অঙ্গে স্পর্শ করেন সন্দীপ। এবং মুখে অশ্লীল কথাও বলেন। এমনকী সেই মুহূর্তে সন্দীপ আরও অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করলে চেঞ্জিং রুম থেকে বেরিয়ে যান তেই। 

তিলোত্তমার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের

ঘটনাটি ২০১৭ সালের। সেই সময় হংকং-য়ে একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তখনই ওই ঘটনাটি ঘটে বলে ওই সংবাদপত্রের দাবি। সেই সময় ঘটনাটি সামনে আসতেই হংকং-এর স্থানীয় কাউলিন সিটি কোর্টে সন্দীপের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স। যদিও গোটা বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন অভিযুক্ত সন্দীপ। তার কারণ ওই সময় হাতে ও কাঁধের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাই সামনে কাউকে না পেয়ে ওই নার্সের কাছেই যান। আর ওই সময় চেঞ্জিং রুমে পোশাক বদল করছিল নার্স মিউ তেই। তখনই অনিচ্ছাকৃতভাবে নার্সের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ হয়েছে বলে আদালতকে জানান সন্দীপ।

আরজি কর কাণ্ডের বিষণ্ণতার সুর উত্তর থেকে দক্ষিণে, জনশূন্য পুজোর বাজার

সন্দীপের দাবির সাপেক্ষে আদালতে সাক্ষী দেন হংকং-এর অর্থোপেডিক চিকিৎসক ড. উইলিয়াম লি। তিনি বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে হাত ও কাঁধের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন অভিযুক্ত। এমআরআই রিপোর্টে তাঁর সেই সমস্যার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে আদালতকে স্পষ্ট জানান ওই চিকিৎসক। তবে বিদেশি নাগরিক হওয়ার কারণেই মূলত মামলাটি বেশি দূর গড়ায়নি। আদালতে ‘নিরাপরাধ’ ঘোষিত হয়ে হংকং থেকে দেশে ফিরে আসেন সন্দীপ। এবার বছর সাতেক আগে বিদেশের মাটিতে ‘কুকর্মে’র বিষয়টি সামনেআসতে ফের মুখ পুড়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যাক্ষের।

আর জি কর দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। (Sandeep Ghosh)কে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৯ অগস্ট চিকিৎসক তরুণী খুনের (RG Kar Rape-Murder Case) ২৬ দিন পর অবশেষে গ্রেফতার হন তিনি। গত ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসে। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ডাক্তারি পড়ুয়ারা। অবশেষে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয় হাসপাতালে অধ্যক্ষের পদ থেকে। হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।