বাড়ির সামনেই খতম। একেবারে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল হামলাকারীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে জগদ্দলের তৃণমূল নেতা ভিকি যাদবকে খুনের (Supari Killing) পরই পুরো ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে ফিসফাস আলোচনা এবার কার পালা?
নিহত ভিকি যাদব তার গুরু ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিশেষ পরিচিতদের একজন। গুরুর সাথেই ভিকি তৃ়ণমূল ও বিজেপিতে আসা যাওয়া করেছিল। সেই ভিকি খতম। তাকে মেরে হামলাকারীরা অর্জনু সিংকে কঠিন বার্তা দিল বলেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা। পুলিশের একাংশ এমনই মনে করছে।
এবার কি টার্গেট ‘ভাটপাড়ার রুইমাছ’ ? কে সেই ব্যক্তি? এমনই শব্দ ঘুরছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সর্বত্র।শিল্পাঞ্চলের সুপারি কিলারদের নিজস্ব ভাষা-শব্দ ব্যবহার করে অনেকেই বলছেন ভিকিকে খুন করিয়ে এবার রুইমাছকে টার্গেট করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। রুইমাছ থাকে ভাটপাড়ায়।
লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যেও আলোচনা তীব্র। তবে তাদের অনেকেই বলছেন, রাজ্যে বাম জমানা পতনের পর এই সংঘর্ষ কবলিত এই এলাকায় খুনের সংখ্যা আরও বেড়েছে। এর জন্য দায়ী সুযোগসন্ধানী সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ‘বিজেমুলী’ চরিত্র। তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়ে ফের তৃ়নমূলে আসা অর্জুন সিং ভোটের আগে আবার দল পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি ফের বিজেপিতে যেতে পারেন এমনই গুঞ্জন তীব্র। ভাটপাড়া নিবাসী অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ছিল নিহত ভিকি যাদব।
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়াসঙ্গী ছিল ভিকি যাদব। তাকে যেভাবে প্রকাশ্যে পরপর গুলি করে মারা হয়েছে তা এক ধরণের ভয় জাগানো কৌশল বলে মনে করছে পুলিশ। জগদ্দলে ভিকি যাদবের বাড়ির সামনেই তাকে লক্ষ্য করে এগারো রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। ভাটপাড়া পুরসভার ১৭নং ওয়ার্ড তৃণমূলের নেতা ছিল ভিকি যাদব।
সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, অনেক বছর আগে ভিকির বাবাকেও খুন করা হয়েছিল। এদিকে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে অন্য একটি খুনের মামলায় ভিকি যাদবের নাম ছিল। ভিকি যাদবকে সিবিআই একাধিকবার জেরা করেছিল।