বাংলার বুকে ভারতীয় বায়ু সেনা-সিঙ্গাপুর এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া সমাপ্ত

Indian Air Force: পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশনে (Kalaikunda Air Force Base) ভারতীয় বায়ু সেনার (Indian Air Force) সঙ্গে ১২ তম যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন…

RSAF concludes joint military training with Indian Air Force

Indian Air Force: পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশনে (Kalaikunda Air Force Base) ভারতীয় বায়ু সেনার (Indian Air Force) সঙ্গে ১২ তম যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন সফলভাবে শেষ করল রিপাবলিক অফ সিঙ্গাপুর এয়ার ফোর্স (RSAF)। চলতি বছরের ২২ শে অক্টোবর শুরু হওয়া অনুশীলন চলেছে সাত সপ্তাহ ধরে। এই ইভেন্টের ফোকাস ছিল উন্নত বায়বীয় যুদ্ধ সিমুলেশন এবং যৌথ স্থল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুই বায়ু সেনার মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

কলাইকুন্ডা বায়ু সেনার ঘাঁটিতে সাত সপ্তাহ ধরে চলেছে এই যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ (Joint Military Exercise)। ২০০৮ সাল থেকে দুই দেশের বায়ু সেনার মধ্যে ধারাবাহিকভাবে হয়ে চলেছে এই দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা। কলাইকুন্ডা এয়ার বেসের এই মহড়ায় অংশ নেয় উভয় বায়ু সেনার উন্নত এয়ারক্রাফট। কোন কোন বিমান অংশগ্রহণ করে জেনে নিন বিস্তারিত –

   

রিপাবলিক অফ সিঙ্গাপুর এয়ার ফোর্স (RSAF)- F-16C/D, F-15, G-550 এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C), এবং C-130 বিমান।

ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)- Rafale, Mirage 2000, Su-30MKI, TEJAS, MiG-29, এবং Jaguar বিমান।

এই যৌথ মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য কী কী জেনে নিন-

১। আন্তঃঅপারেবিলিটি বাড়ানো: নিশ্চিত করা যে উভয় বায়ু সেনা বিভিন্ন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে একসাথে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে।

২। জ্ঞান ভাগাভাগি: কৌশলগত দক্ষতা উন্নত করতে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং দক্ষতা বিনিময়ের সুবিধা প্রদান।

৩। সাংস্কৃতিক বিনিময়: কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বন্ধুত্বের প্রচার।

RSAF concludes joint military training with Indian Air Force

এই মহড়ার সমাপ্তি ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে গভীরতর প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ওপর জোর দেয়। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার প্রতি পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাড়তে থাকা ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের আলোকে। এই সহযোগিতা শুধুমাত্র সামরিক সক্ষমতাই শক্তিশালী করে না বরং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেও শক্তিশালী করে।