সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মদতে বাংলাদেশে গরু পাচার চলছেই। বীরভূম থেকে মালদা হয়ে বাংলাদেশে এই গরু পাচার চক্রের ‘কিংপিন’ ও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অনুব্রত (কেষ্ট) জেলে থাকলেও বীরভূম থেকে গরু পাচার থামেনি। শত শত গরু পাচার চলছে। তেমনই ছবি ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়।
গরু পাচার মামলায় জেলে অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন। তাও চলছে বীরভূমের গরু পাচার। কীভাবে হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একদিনে বীরভূমে ৪০৯ টি গরু উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থানার পাইকপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০৮ টি গরু। পুলিশ কী বলছে? গরু পাচার মামলার মাথারা জেলে। তাহলে কিভাবে চলছে চোরা কারবার।
বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার বিভিন্ন থানার অভিযানে ৪০৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে। রামপুরহাট থানা পাইকপাড়া ও কুসুমগড়িয়া গ্রাম থেকে ২০৮টি গরু সহ দু’জনকে আটক করা হয়। জেলার মাড়গ্রাম থানা মল্লিকপুর গ্রামের ভোল্লা ক্যানেল মোড় থেকে ২০টি গরু সহ দু’জন এবং নলহাটি থানার শালবন থেকে ২০১টি গরু আটক করে পুলিশ। সোমবার গভীর রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। বেশিরভাগ গরু ঝাড়খন্ড থেকে আনা হয়েছে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন। তাও বন্ধ হয়নি বীরভূমের গরু পাচার। ইলামবাজার করিডর আর পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। নতুন করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রামপুরহাট, নলহাটিকে। আজ, রামপুরহাট থানা এলাকা থেকে ২০৮ ও নলহাটি থেকে ২০১ টি গরু উদ্ধার হয়েছে। একদিনে ৪০৯ টি গরু উদ্ধার বীরভূম জেলা থেকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খন্ডের শিকারি পাড়া থেকে বা থানা এলাকা থেকে গরুগুলিকে আনা হচ্ছে রামপুরহাট বা নলহাটির গরু হাটে। সেখান থেকে কখনও মালদা, কখনও মুর্শিদাবাদে পাঠানো হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে নতুন করিডর তৈরি করা হলেও পুলিশছর কাছে খবর নেই। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার গরু উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া যাচ্ছে না। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার বলেছেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।