প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতিতে (Tet scam) আরও বিপাকে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। টাকা বিদেশে পাচারের মতো বিস্ফোরক দাবি করেছেন মানিকের আত্নীয়রা।
মানিক ভট্টাচার্যের ভাই ও ভ্রাতৃবধুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তারা জানায়, ভাই ও তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার টোপ দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। টাকা পাচারের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল মানিক। জিজ্ঞাসাবাদের দুজনই জানিয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার হয়েছে। এবিষয়ে কেউই অবগত ছিলেন না।
মানিক ভট্টাচার্যের ভ্রাতৃবধুর দাবি, ২০১০ সালে বিদেশে ভ্রমণ করতে যাওয়ার নাম করে টোপ দেওয়া হয়। মানিক ভট্টাচার্য তাদের সমস্ত পরিচয়পত্রের কপি নিয়ে নেয়। পাসপোর্টে আবেদনের জন্য সাদা পাতায় সই করানো হয়েছিল। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য মানিক জোর করে নিয়েছিল। পরে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন মানিকের ভাইরা।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তদন্ত করতে নেমে মানিক সম্পর্কে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। তার পরিবারের সদস্যদের একাধিক অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন সম্পর্কে হদিশ মিলেছে। এমনকি মানিকের কাছ থেকে যে হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে প্রভাবশালী নেতাদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী অফিসাররা।
ইতিমধ্যেই মানিকের বিষয়ে ১৬০ পাতার চার্জশিট জমা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই প্রেক্ষিতে তুলে ধরা হয়েছে ৬ হাজার পাতার একটি নথি। সেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।