Gangasagar: সাধু নিগ্রহের পর সতর্ক প্রশাসন, গঙ্গাসাগরে মানুষের ঢেউ

গত বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে মোট আসা পূণ্যার্থীদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস…

Gangasagar devotees

গত বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে মোট আসা পূণ্যার্থীদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন সেই পরিসংখ্যান। উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মকরস্নানের পূণ্যতিথি। শনিবার পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে পূণ্যার্থীদের সংখ্যা নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। ভিড়ের অবিশ্বাস্য রেকর্ড যে হবে তাতে আশাবাদী ছিল জেলা প্রশাসনও।

প্রত্যেক বছরের পূণ্যার্থীদের সংখ্যা দেখে মনে হয় আগের বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। এই বছরও তেমন মনে হলেও রেকর্ড পরিসংখ্যান হয়েছে। অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, বুধবার গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে ফিরে গিয়েছেন।

এই বছরের পূণ্যস্নানের যোগ কখন? যোগ রয়েছে রবিবার (ইংরেজি মতে সোমবার) রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। তাই মনে করা হচ্ছে এই বছরও সাগর মেলায় পূণ্যার্থীদের নতুন রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর শনিবারই গঙ্গাসাগরে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। পৌঁছে গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পরিসংখ্যান দিলেও শনিবার রাতেও পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন সাগরে।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি সবসময় চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, পূণ্যার্থীদের জন্য এই বছর ১০,০০০ এর বেশি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে সাগিরে। বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আট ও কচুবেড়িয়া থেকে সাগরমেলা পর্যন্ত আড়াই হাজার অতিরিক্ত বাস চালানো হচ্ছে। জলপথে ৩৮টি ভেসেল, ৬টি বার্জ ও ১১০টি লঞ্চ চলছে। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছে ৫৪৮ ড্রপ গেট। এছাড়া গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে মোট ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৪০০ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীকে মোতায়ন করা হয়েছে।

অপরদিকে, মেলাচত্বরে অসামাজিক কাজকর্মের জন্য ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেলায় এসে পথ হারিয়ে ফেলেন ৪১০ জন। তাদের মধ্যে ৩৯৪ জন পুণ্যার্থীকে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। মেলা শুরুর পর থেকে সাগরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ পূণ্যার্থী। অসুস্থ পূর্ণ্যার্থীদেরকে আকাশপথে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।