অতি বৃষ্টির সঙ্গে ছড়াচ্ছে ইঁদুর জ্বর (Rat Fever)। আপাতত সংক্রমণের কেন্দ্র জলপাইগুড়ি। তবে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের একটি বিশাল মুরগি খামার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা মুরগির বিষ্ঠা ইঁদুর ও মাছির বংশবৃদ্ধি বাড়িছে। ইতিমধ্যেই ওই ফার্ম থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ইঁদুর জ্বর কী?
লেপটোস্পাইরোসিস (Leptospirosis) এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ। সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়া ইঁদুরের মূত্রে থাকে এবং দূষিত জল, কাদা বা খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ইঁদুর জ্বর কীভাবে ছড়ায়?
ইঁদুর বা অন্যান্য আক্রান্ত পশুর মূত্র বা মল দিয়ে দূষিত জল বা মাটি-র সংস্পর্শে এলে কাটা, ঘা, বা স্ক্র্যাচযুক্ত চামড়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করতে পারে।চোখ, নাক বা মুখ দিয়েও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অথবা দূষিত জল বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়।
ইঁদুর জ্বরের লক্ষণ সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতো, তাই চেনা কঠিন হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
হঠাৎ জ্বর ও ঠান্ডা লাগা। মাথাব্যথা। পেশিতে ব্যথা (বিশেষ করে পেছনের দিকে ও কাঁধে)। চোখ লাল হয়ে যাওয়া। বমি বমি ভাব বা বমি। পেট ব্যথা বা ডায়ারিয়া।ক্লান্তি। কখনও কখনও চামড়া ও চোখের সাদা অংশ হলদে হয়ে যেতে পারে (জন্ডিস)।
কতটা মারাত্মক ইঁদুর জ্বর?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগটি হালকা মাত্রার এবং চিকিৎসায় সহজেই সেরে যায়। তবে চিকিৎসা না করলে এটি গুরুতর আকার নিতে পারে এবং লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক বা ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর গুরুতর রূপকে Weil’s Disease বলা হয়।
বৃষ্টির জল, জমে থাকা জল বা কাদায় থিকথিক করে ইঁদুর জ্বরের জীবাণু। পানীয় জল ব্যবহার করতে হবে।বন্যা পরবর্তী সময়ে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত চিকিৎসায় এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।