রঞ্জনকে ঘুষ দিয়েই চাকরি TMC-BJP-CPIM নেতার আত্মীয়দের

রঞ্জন করেছে কামাল। তাকে ঘুষ দিয়েই চাকরি হয়েছে TMC-BJP-CPIM নেতার আত্নীয়দের এমনই অভিযোগ। বনগাঁর বিজেপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাসের নামের পাশে জড়িয়েছে সিপিআইএম নেতা নিত্য বিশ্বাসের ছেলে শান্তনু বিশ্বাসের নাম।

Ranjan was bribed by the relatives of TMC-BJP-CPIM leaders

পেঁয়াজের খোসার মতো দুর্নীতির জট ক্রমাগত খুলতে শুরু করেছে। কখনও শাসক দলের নেতাদের নাম জড়াচ্ছে আবার কখনও নাম জড়িয়েছে বিরোধী দলের নেতাদেরও। আছে বামপক্ষও! রঞ্জন করেছে কামাল। তাকে ঘুষ দিয়েই চাকরি হয়েছে TMC-BJP-CPIM নেতার আত্নীয়দের এমনই অভিযোগ। বনগাঁর বিজেপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাসের নামের পাশে জড়িয়েছে সিপিআইএম নেতা নিত্য বিশ্বাসের ছেলে শান্তনু বিশ্বাসের নাম।

বনগাঁর একাধিক বেআইনি চাকরি পাওয়ার ঘটনায় বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের যুক্ত থাকার খবর মিলেছে। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বর্ণিত রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল অনেক আগে থেকেই তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিল। তাকে ডেকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এখন চাকরি বাতিলের তালিকায় থাকা ৪ জন রঞ্জনের হাত ধরেই চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

সব থেকে চাঞ্চল্যকর সিপিআইএম নেতার ছেলের চাকরি। জানা গেছে, গাইঘাটার কলাসীমা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের শিক্ষক শান্তনু বিশ্বাস। ৯৫২ জনের ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরির কথা স্বীকার করলেও পরে সেই চাকরি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন শান্তনু।

বিজেপির গোবিন্দর দাবি, কীভাবে তাঁর নাম এই তালিকায় এল সেটা জানা নেই। তাঁর বক্তব্য, সঠিকপথে তার চাকরি হয়েছে। আদালতের কাছে সমস্ত তথ্য তুলে ধরবে।

যদিও বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের দাবি, আরও অনেকের নাম বেরিয়ে আসবে। শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশন নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক বিভাগে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে, তার পিছনে এই চন্দন মণ্ডলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এসপি সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের।