তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছে নরেন্দ্র মোদীর এনডিএ সরকার। সেই বাজেট নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়াও চলে। গোটা বাজেটকেই কুর্সি বাঁচানোর বাজেট বলে কটাক্ষ করে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি। এবার রেল বাজেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো যাত্রী। তাই রেল নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী, অনিশ্চিত মোদী-মমতার বৈঠক
বাংলার ভাগ্যে রেল বাজেটে কিছুই জোটেনি বলে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল। সেই কটাক্ষের জবাবে অবশেষে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সরকারের জমি অধিগ্রহণে অসহযোগিতাই একমাত্র রেল প্রকল্পের কাজে ঢিলেমির কারণ।”
মমতার বুদ্ধিতেই কাটল আলুর আকাল? ধর্মঘট তুলে নেওয়ায় কমতে পারে দামও!
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রেলের প্রকল্পে জমি পাওয়ার সমস্যা রয়েছে। ওই কাজে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। যা রাজ্য প্রশাসন করে না।’’ জমি সমস্যা মেটাতে আগামী দিনে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন অশ্বিনী।
এবার চলতি রেল বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১৩ কোটি ৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে আজ জানান অশ্বিনী। তাঁর দাবি, ইউপিএ আমলে যেখানে গড়ে ৪৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ হত, সেখানে চলতি বছরে তার তিন গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। রেল মন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬০ হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্প চালু রয়েছে।
Ladakh: হঠাৎ লাদাখে বিরাট ট্যাঙ্ক বাহিনী মোতায়েন চিনের, আতঙ্ক বাড়ছে উপত্যকায়
রাজ্যের ১০০টি স্টেশনকে ‘অমৃত ভারত স্টেশনে’ পরিণত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ বছরে রাজ্যে ১২৬১ কিলোমিটার নতুন লাইন পাতা শেষ হয়েছে। বৈদ্যুতিকরণ হয়েছে ১৫৭৮ কিলোমিটার লাইনের। ৪৪৩টি ফ্লাইওভার ও ভূগর্ভস্থ পথ হয়েছে বঙ্গে। খুব দ্রুত দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে বন্দে ভারতের স্লিপার ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বাংলার ভাগ্যেও বন্দে ভারত স্লিপারের শিকে ছিঁড়বে বলে ইঙ্গিত রেলের আধিকারিকদের।
