ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মমতা নীরব, থানার অদূরেই বাজি কারখানা

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। বেআইনি বাজি কারখানায় হয় বিস্ফোরণ। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয়দের দাবি, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। বিস্ফোরণেরর ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে ছিল দেহ এবং দেহাংস। আশপাশের বাড়িগুলিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘটনার পরই স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দেন।

Advertisements

ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে বাজি ক্লাস্টারের ভাবনা কি তবে খাতায় কলমে? প্রশাসনের দিকেও আঙউল তোলা হচ্ছে। এই বছর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা- এগরা, বজবজ, দুবরাজপুর, ইরেজবাজার। এগরা ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। এরপর প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয় যে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এগরার বিস্ফোরণের ১১ দিন পর সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ক্লাস্টার তৈরির ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ক্লাস্টার তৈরি নিয়ে বলেন, “গ্রিন ক্র্যাকার, যা মানুষের কাজে লাগে, অথচ জীবনে ক্ষতিকারক নয়, সেই রকম ধরনের আমরা ক্লাস্টার, যেখানে যেখানে বাজি কারখানা আছে, সেখান থেকে জনগণ সম্বলিত এলাকা, তার থেকে একটু দূরে আমরা করে দেব।“

Advertisements

কিন্তু ২৭ শে আগস্টের নীলগঞ্জের বিস্ফোরণের পর উঠছে প্রশ্ন। মে মাসের পর আগস্ট। সাড়ে ৩ মাসে একই পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৩ শিশু, মহিলা-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সকাল ১০ টা নাগাদ দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকায় সামসুল আলি ওরফে খুদের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ধূলিসাৎ হয়ে যায় দোতলা বাড়ি। আশেপাশের একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল উড়ে যায়। ভেঙে পড়েছে দেওয়াল এতটাই ভয়ানক চিল বিস্ফোরণ। এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেন যে আরও একটি বাড়িতে বেআইনি বাজি মজুত রয়েছে। এরপরই তারা ভাঙচুর চালান। বিস্ফোরণের শব্দে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বারাসাত শহরও কেঁপে ওঠে।