বসন্তের সকালে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন অংশে তুমুল বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও দেখা গেছে শিলাবৃষ্টি।
পুরুলিয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তীব্র বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টির ফলে বড় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক মহিলার। মালবাজার ২ নম্বর ব্লকের আঁকড়ো গ্রামের কাছে একটি ইটভাটায় বজ্রাঘাতে আহত হন তিন শ্রমিক, এর মধ্যে দুই পুরুষ এবং তিন মহিলা শ্রমিক। বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে যমুনা মুদি (৩৫) নামে এক মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় বৃষ্টির ফলে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটে। বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং। এই ঘটনায় এক বাইক আরোহী অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন। ঘটনাটি ঘটে বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় সংলগ্ন বিবেক শিশু উদ্যান এলাকায়।
পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয় এবং গলসি সহ একাধিক এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল যাওয়ার পথে বাবুর বাগ এলাকায় একটি গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পশ্চিম বর্ধমানেও বুধবার রাত থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়।
অকাল বৃষ্টির ফলে বাঁকুড়া জেলার চাষের জমিতে জল জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। তালডাংরা, সিমলাপাল ও ওন্দা এলাকার কৃষকরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টির কারণে যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। নারায়ণগড় ও দাঁতন এলাকায় জাতীয় সড়কে দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। বেলা গড়াতেই শহর অন্ধকারে ডুবে যায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পার্শ্ববর্তী জেলায়। আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানা গেছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে তেলঙ্গানা পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখার সঙ্গে দুই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে এই অকাল বৃষ্টির আগমন ঘটে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।