Purba Medinipur: ‘বিজেমূল সাংসদ’ শিশির অধিকারীর ঘরে ইলিশের ভুরিভোজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

তৃণমূলের হয়ে জিতলেও ঘোষিত দলত্যাগ না করেই বিজেপি শিবিরে গেছেন শিশির অধিকারী। তিনি ‘বিজেমূল’ সাংসদ বলেই চর্চিত। রবিবার দুপুরে সেই অধিকারী পরিবারের নিবাস কাঁথির ”…

তৃণমূলের হয়ে জিতলেও ঘোষিত দলত্যাগ না করেই বিজেপি শিবিরে গেছেন শিশির অধিকারী। তিনি ‘বিজেমূল’ সাংসদ বলেই চর্চিত। রবিবার দুপুরে সেই অধিকারী পরিবারের নিবাস কাঁথির ” শান্তিকুঞ্জে ”  মধ্যাহ্ন ভোজন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  ছিলেন একাধিক বিধায়ক। পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) একাধিক কর্মসূচিতে এসে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর যান শিশির অধিকারীর সাথে দেখা করতে।

শিশির পুত্র ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তখন বাড়িতে না থাকলেও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও  ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আপ্যায়নে। অতিথি আপ্যায়ন করেন কাঁথির বর্ষিয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী। খাবারের তালিকাতে একেবারেই যেন ভুরিভোজ। ভাত, ডাল, আলুভাজা,  একটি সবজি, প্রমপ্লেট,  ইলিশ ও কাতলা মাছ, সব শেষে দই মিষ্টি পাঁপড়! 

মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে অধিকারী নিবাস ” শান্তিকুঞ্জ ” থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শিশির অধিকারী সম্পর্কে তিনি বলেন ” অনেক পুরনো শ্রদ্ধ্যেয় ব্যক্তি তিনি।  দিব্যেন্দুদা ( তমলুকে সাংসদ) আগে থেকে বলেছিল এখানে এলেই আমার বাড়িতে যেন আসেন! বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করলাম। শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে নেই উনি কাজে ব্যস্ত আছেন, দাদার সঙ্গে প্রত্যেকদিন কলকাতায় দেখা হয় “।

তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন শান্তনু ঠাকুর।  তার দাবি ” জেলবন্দি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যতজন সহযোগী রয়েছে সকলেই ধরা পড়বে। প্রত্যেকেই রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। জেলা থেকে ব্লক প্রত্যেককে তুলে আনা হবে যারা যুক্ত ছিল। শঙ্কর আড্য দিঘাতে হোটেল আছে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার মালিক। সমস্ত টাকা জলাঞ্জলি দিতে হবে “।

বস্তুত,  কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শনিবার হলদিয়া একাধিক কর্মসূচিতে ছিলেন। রবিবার সকালে কাঁথির নাচিন্দা মন্দিরের পূজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। তারপরে মারিশদা ধান্দালিবাড়ে একটি জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান। সেখান থেকে হয়ে অধিকারী নিবাস শান্তিকুঞ্জে মধ্যাহ্নভোজন করেন৷ কাঁথি সংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে রামনগরের একটি কর্মসূচিতে যান।

তমলুকে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন ” রাজনীতিতে এখন সৌজন্যতা উঠে গেছে। বাঙালি সবসময় অতিথি ভক্ত। তিনি তো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাচ্ছেন। ঠাকুর বাড়িতে কেন যাব না। ইদানিং কাঁথিতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কোন এক মানুষ শ্রদ্ধেয় মানুষকে প্রণাম করেছেন। রাজনৈতিক পরিবারের লোক রাজনৈতিক পরিবারে এলে রাজনৈতিক কথা হবে এটা তো স্বাভাবিক। হলদিয়া বন্দর নিয়ে বলেছি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথা তুলে ধরেন। তার কাছ থেকেও আমি স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছি। এ বাড়ির দরজার সকলের জন্য খোলা!  বামফ্রন্ট থেকে অন্য রাজনৈতিক দল এলেও দরজা খোলা রয়েছে “।