ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) ময়না। রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, খোদ পুলিশ কর্মীর উপর হামলা ও গাড়ী ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলো দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। যদিও এখনোও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। নতুন করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানায় বাকচায় গ্রামের শনিবার রাতে পেট্রোলিং চালাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ময়না থানার নাইট পেট্রোলিং টিম টহলদারি চালানোর সময় একদল দুষ্কৃতি আচমকা হামলা চালায় পুলিশের উপর। উর্দিধারীদের টার্গেট করে বাঁশ, ইট ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ডাবের খোলাও ছুড়ে মারা হয়। হামলার জেরে পুলিশের গাড়ির পিছনের দিকের কাঁচ ভেঙে যায়। এক পুলিশ অফিসার-সহ চারজন পুলিশ কর্মী আহত হয়। তাদের’কে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
কি কারণে পুলিশের এই হামলা চললো সেই বিষয়টি এখনোও পরিষ্কার নয়। রক্তাক্ত জখম পুলিশ কর্মীদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যই ময়না ব্লক প্রাথমিক ভর্তি করা হয়। কারা এই কাণ্ড ঘটাল, রাতের অন্ধকারে পুলিশের উপর হামলার নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতিদের, সে সব এখনোও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে ময়না থানার পুলিশ। কে বা কারা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালালো তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
ময়না থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন ” একজন অফিসার সহ চারজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়ছেন। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে৷ দুষ্কৃতিকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।
যদিও এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বরা বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি ” এলাকার সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্যই পুলিশি টহল বন্ধ করতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা এমন হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়েছি “।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি আশীষ মণ্ডল বলেন ” ময়না গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। তাই তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাই পুলিশের উপর তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীর হামলা চালিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অপচেষ্টা মানুষ রুখে দাঁড়াবে “।