‘তৃণমূল বলছে ইজ্জত নেবে’…গণনার আগে বঁটি হাতে গণপ্রতিরোধে বাংলার লক্ষ্মী

একঝাঁক মহিলা-সবাই সশস্ত্র! হাতে দা, কাটারি, বঁটি নিয়ে তারা তৈরি ইজ্জত রক্ষার জন্য। তাদের রণংদেহি মূর্তি তীব্র আলোড়ন ফেলে দিল।

Advertisements

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট গণনা। সোমবার গোটা রাজ্যের ৬৯৬ টি বুথে হল পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচন। কাঁথির আমতলিয়া অঞ্চলে পুনর্নির্বাচন বয়কট করলেন গ্রামবাসীরা। ৮ ই জুলাই (শনিবার) নির্বাচনের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গ্রামের প্রত্যেক মহিলারা কাটারি, লাঠি, বঁটি নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

কাঁথির এই বিক্ষোভকারী মহিলাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা আনসারের নেতৃত্বে রাত্রে এসে শাঁখা সিঁদুর ভেঙে দেবে বলে হুমকি দেয়। মহিলাদের ইজ্জত নিয়ে নেওয়ার মত হুমকিও তারা দেয়। এই গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে তৃণমূলের হাত দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এক বিক্ষোভকারী মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার আমাদের এখানে বারোটা পর্যন্ত সুস্থভাবে ভোট চলছিল এরপর সাড়ে বারোটার দিকে কয়েকজন এসে ছাপ্পা ভোট দেওয়া শুরু করে। তাদের একজনকে আমরা ধরে এখানে নিয়ে আসি। তারপরে চার পাঁচ জন ছেলে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের ছেলে-মেয়ে সবাইকে মেরেছে, বাচ্চাদের মেরেছে। এমনকি একজন গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে”।

Advertisements

অন্য একজন মহিলা জানিয়েছেন, এর আগে আমাদের গ্রামে এরকম অত্যাচার কোনদিনও হয়নি। বাইরে থেকে এরা এসে মারামারি করছে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আমরা গ্রামে কোনো অশান্তি চাই না তাই আমরা মহিলারা মিলে রাস্তায় নেমেছি। আমরা এখন কোনো ভোট চাই না। প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা কোন সাহায্য পাইনি”।

গণনার পর ধর্ষণের হুমকি আসায় মহিলারা সশস্ত্র। তারাও হামলাকারীদের কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। পরিস্থিতি রীতিমতো গরম। জানা গেছে, কাঁথির পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যত্র ছড়িয়েছে এমন বিক্ষোভ। অন্যান্য জেলাতেও চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ।

পঞ্চায়েত ভোটের মাঝেই রবিবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার একাধিক বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।