Purba Bardhaman: শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানে অনুব্রত পেলেন জয় সংবাদ, আজই জেল?

কলকাতা থেকে আসানসোলের পথে সিবিআই (CBI) মাঝ পথে শক্তিগড়ে থামাল গাড়ি। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) এই বিখ্যাত ল্যাংচা মিষ্টির এলাকায় গাড়ি থামতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrta Mondal) দেখতে ভিড় জমে গেল। ভিড় থেকে চিতকার কেষ্টদা জিতে গেছি আমরা। ঘাড় ঘুরিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের (TMC) ভিড় দেখলেন ‘কেষ্টদা’। গোরু পাচার মামলায় বুধবারই তাঁকে আসানসোলে ফের নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। আজই অনুব্রতর জন্য নিজেদের হেফাজত নয়, জেল হেফাজতের আবেদন করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি।

Advertisements

পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ে পৌঁছেই প্রভাবশালী তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল পেলেন জয় সংবাদ। আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ পুরসভার দুটি আসনের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। দল থেকে আসানসোলের ভোটের জন্য দায়িত্বে আছেন অনুব্রত। তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে গোরু পাচার মামলার তদন্ত চলছে।


গোরু পাচার মামলায় বুধবার সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের৷ সিবিআই ঘেরাটোপে কলকাতাতেই তিনি বিচারককে দেওয়া হুমকির চিঠি প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, জজ সাহেবকে বলব, চিঠি দিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হোক। মঙ্গলবার সিবিআই আদালতর বিচারক রাজেশ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনান। সেই শুনানির আগেই মঙ্গলবার আসে হুমকির চিঠি। জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ওই চিঠি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে,গোরু পাচার মামলা অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে। ২০ অগাস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisements

অভিযোগ, বারবার ‘গাঁজা কেস’ দিয়ে বিরোধী দলগুলির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করাতেন অনুব্রত। তবে এবারের চিঠি সম্পর্কে তিনি বলেন ফলস কেস।

ইতিমধ্যেই সেই চিঠির কপি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন বিচারক। যা ঘিরে গতকাল থেকে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যার নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেই বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না৷

দলনেত্রীর আস্থাভাজন অনুব্রত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক করেছে। গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে অনুব্রতর হয়ে সাফাই দেন মুখ্যমন্ত্রী।