Purba Bardhaman: টিএমসি সমর্থক তুহিনা খাতুন মৃত্যু রহস্য, বিচার চেয়ে বিক্ষোভে SFI

হাওড়ায় ছাত্র নেতা আনিস খানের ‘খুন’-এর তদন্ত চেয়ে পথে নেমেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন। এ নিয়ে আন্দেলনে জেরবার সরকার। এবার পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার…

হাওড়ায় ছাত্র নেতা আনিস খানের ‘খুন’-এর তদন্ত চেয়ে পথে নেমেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন। এ নিয়ে আন্দেলনে জেরবার সরকার। এবার পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার বর্ধমান শহরে এক তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক পরিবারের যুবতী তুহিনা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চেয়ে জেলা জুড়ে বিক্ষোভে নামছে সিপিআইএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন।

Advertisements

এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ফেসবুক পেজে বিক্ষোভের বার্তা দেওয়া পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আরও চাঞ্চল্য ছড়াল। পুরভোটে বর্ধমানের কোনও ওয়ার্ডেই বামফ্রন্ট জিততে পারেনি। ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে সিপিআইএম। তবে ভোটের ফলে দেখা গেছে ৩৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশে বাম প্রার্থীরা দ্বিতীয়, তাদের সঙ্গেই টিএমসির মূল লড়াই হয়েছে। বিজেপি নেমেছে তিন নম্বরে।

   

বর্ধমান পুরভোট ঘিরেই তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাগাড় আরও স্পষ্ট হয়েছে। মৃত তুহিনা খাতুনের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় টিএমসি নেতা ও কাউন্সিলর লাগাতার অশ্লীল মন্তব্য, ধর্ষণ হুমকি দিত।

ছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাম ছাত্র সংগঠনটির দাবি, এই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আন্দোলন হবে। তুহিনার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে প্রবল আলোড়ন।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। বর্ধমান পুরসভার ২৭ নন্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদতলা এলাকায় তৃণমুল কর্মীর মেয়ে তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ফল ঘোষণার কিছু পরেই এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, এলাকার কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীদের অত্যাচার চলছিল তুহিনার পরিবারের উপর।

বুধবার বিকেলে ১৮ বছরের তুহিনা খাতুনকে তার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার বাবা ধনাই শেখ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, পুরসভার ভোটের ফল প্রকাশের পর কাউন্সিলর বশির আহমেদ ওরফে বাদশা ও তার অনুগামীরা বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করে এবং শাসায়। বাদশার বিরুদ্ধেই ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মুক্তার মিঞার অভিযোগ, পুরসভার ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বাদশা তুহিনাদের বাড়িতে হুমকি দিতে থাকে। বাড়ির দেওয়ালে তুহিনা সহ তাদের তিন বোনের বিকৃত ছবি এঁকে হুঁশিয়ারি দেয়। ভোটের ফল প্রকাশের পর বিকেলে বাদশা দলবল নিয়ে তুহিনার বাড়িতে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে,তাকে মারধর করা হয়। সেই অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে তুহিনা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাদশা।

তুহিনার মৃত্যুর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।