Purba Bardhaman: থানায় ঢুকে বরের কান্না ‘বউ পালিয়েছে স্যার…’

হবু বরকে গায়ে হলুদের ছবি পাঠিয়েছিল কণে বউ। বেজায় খুশি বর। কিন্তু বিয়ে করতে এসে দেখল সব ভোঁ ভাঁ! বউ পালিয়েছে। খানিক হম্বিতম্বি করে বর…

হবু বরকে গায়ে হলুদের ছবি পাঠিয়েছিল কণে বউ। বেজায় খুশি বর। কিন্তু বিয়ে করতে এসে দেখল সব ভোঁ ভাঁ! বউ পালিয়েছে। খানিক হম্বিতম্বি করে বর হাজির থানায়। সব যেন সিনেমার মতো। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ার ঘটনা।

বিয়ে করতে এসে হবু স্ত্রীর খোঁজ না পেয়ে থানার দ্বারস্থ হলেন বর । বিয়ের কয়েকঘণ্টা আগে পাত্রী তার গায়ে হলুদের ছবিও পাঠিয়ে ছিলেন পাত্রকে। কিন্তু বিয়ে করতে এসে আর দেখা নেই পাত্রী সহ পরিবারের লোকেদের। এমন কি, পাত্রী সহ তার পরিবারের সদস্যদের ফোনও ছিল বন্ধ। তাই কারও দেখা না পেয়েই, হতাশ হয়ে কাটোয়া থানার দ্বারস্থ হন পাত্র।

নয়ন ঘোষের বাড়ি নদিয়া জেলায়। তিনি রাজস্থানের জয়পুরে সোনার গয়নার কাজ করেন। তার সহকর্মী সোমনাথের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। নয়নের দাবি, তার প্রেমিকার তাকে বিয়ে করার কথা ছিল। এমনকি অনেকের সুবিধার জন্য কাটোয়ার আত্মীয়দের বাড়িতে এক আত্মীয়কে বোঝাতে হবে বলে জানাতে হবে তরুণী তাকে।

নয়নের দাদু মারা যাওয়া এক বছর পূর্ণ হবে ১৬ ডিসেম্বর৷ তাই ১৭ ডিসেম্বর বিয়ে করবেন ঠিক হয়। সেইমতো প্রায় ১৫ জন বরযাত্রীকে নিয়ে কাটোয়ায় যান তিনি। নদী ঘাটে তরুণীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। নয়ন বাবু বারবার ফোন করলে প্রেমিকা কথা কাটাতে থাকে। এই করে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তরুণী ফোন বন্ধ করে দেন। প্রতারণার শিকার তিনি। তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এবিষয়ে কাটোয়া আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার যুবক নয়ন ঘোষের বন্ধুদের মাধ্যমে আলাপ হয় বর্ধমানের বাসিন্দা বিউটির ভট্টাচার্য নামে এক যুবতীর সঙ্গে। নয়ন ঘোষ পেশায় স্বর্ণকর্মী৷ কর্মসূত্রে রাজস্থানে থাকতেন তিনি৷ নিজেকে নদিয়ার জুড়ানপুর গ্রামীণ পোস্ট অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল ওই যুবতী। তারপর ফোনের মাধ্যমেই চলতে থাকে তাদের প্রেম।পরবর্তী সময়ে দুই পক্ষের বাড়ির মধ্যে ফোনেই কথা হয় এবং ঠিক হয় বিয়ের দিন।