Kamduni: ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে কামদুনির বিক্ষোভ থেকে মমতার প্রতি ক্ষোভ তুঙ্গে

কামদুনির পুরানো চেহারা যেন আবার ফিরে এল। ১০ বছর আগে ঠিক এভাবে গর্জে উঠেছিল কামদুনির সাধারণ মানুষরা। ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তারপরে খুনের ঘটনায় মহিলাদের বিক্ষোভের…

কামদুনির পুরানো চেহারা যেন আবার ফিরে এল। ১০ বছর আগে ঠিক এভাবে গর্জে উঠেছিল কামদুনির সাধারণ মানুষরা। ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তারপরে খুনের ঘটনায় মহিলাদের বিক্ষোভের আগুন কামদুনি ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই প্রতিবাদের ছায়া আবার ফিরে এল। প্রতিবাদী মুখ হিসাবে উঠে আসা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে চরম হতাশা।সুবিচারের দাবিতে আজ, শনিবার প্রতিবাদ সভা করলেন টুম্পা মৌসুমীরা। কামদুনি মোড়ে পথ অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। সাড়ে তিনটে নাগাদ শুরু হয় এই অবরোধ। চলে প্রায় এক ঘন্টা। দলমত নির্বিশেষে অনেক রাজনীতিবিদকে এই প্রতিবাদ মিছিলে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের প্রথম থেকে দাবি ছিল সিবিআই তদন্তের। কিন্তু সেখানে হয় সিআইডি তদন্ত। চার্জশিট ফাইল, একের পর এক আদালত বদল, বিচারপতি বদল, এমনকি বদল হয়েছে সরকারি আইনজীবী। অবশেষ রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে সেই রায়ে রীতিমতন হতাশ আন্দোলনকারীরা। তাদের আর সরকারের প্রতি আস্থা নেই। সুপ্রিমকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

কামদুনির আঁচে তপ্ত রাজনীতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সুপ্রিম কোর্টে যেতে সবরকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে লড়তে আইনজীবী প্রদান করবে বিজেপি বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিখ্যাত আইনজীবী বাঁসুরি স্বরাজ বিনামূল্যে এই মামলা লড়তে রাজি হয়েছেন। এমনকি ওই ছাত্রীর পরিবারের সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

বাম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, রায় বেরিয়ে যাওয়ার পর এখন সিআইডি নতুন করে ভিক্টিমের বাবা মায়ের কাছে কি প্রশ্ন করছে ?যে প্রশ্ন ওরা আজ থেকে দশ বছর আগে করেনি। আগে তদন্ত হবে তারপর বিচার হওয়ার কথা। এখানে বিচারের রায়ের পরে কেন সিআইডি ভিক্টিমের বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করছে। মুখ্যমন্ত্রী এই যে কামদুনিতে দাঁড়িয়ে “চুপ” বলেছিলেন। আর সিআইডি প্রশ্ন করতে ভুলে গেলেন। এখন কিসের তদন্ত ? কিসের প্রশ্ন ?গরুপাচারে অভিযুক্তদের জামিন করাতে তাবড় তাবড় আইনজীবীদের এনেছিল সরকার। এই মামলার ক্ষেত্রে কেন তা হল না ? সরকারের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন এখন প্রশ্ন উঠছে।