ভোটের বাংলায় ফের আলোচনায় স্টিং অপারেশন (Sting Operations)। গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা ভিডিও। গোপন ‘সত্য’। তা ফাঁস করে বিতর্ক। বঙ্গ রাজনীতিতেএ হেন অপারেশন নতুন নয়। ভোটের মুখে এমন স্টিং আগেও হয়েছে। বারবার তৃণমূল কাঠগড়ায় উঠেছে। বিতর্ক হয়েছে। রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। কিন্তু ভোট বাক্সে প্রভাব পড়েনি।
এবার স্টিং বিদ্ধ বিজেপি। ৪ মাস ধরে সন্দেশখালি তোলপাড় হয়েছে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে। এমনই দাবি করা হয়েছে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিওয়। বিজেপি নেতার মুখে সেই স্বীকারোক্তি দেখানো হয়েছে। ভাইরাল বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের অবশ্য অন্য দাবি। চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এ নিয়ে আসরে তৃণমূল। ভোটের বাজারে আখের গুছানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না ঘাসফুলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে উঠে আসছে পুরোনো স্টিং অপারেশনের স্মৃতি।
২০১৬ সালের মার্চ। বিধানসভা ভোটের মুখে ফাঁস নারদ ভিডিও। একঝাঁক তৃণমূল নেতাকে ঘুষ নিতে দেখা যায়। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অস্বস্তিতে শাসক। কিন্তু ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়েনি। তৃণমূল একাই ২০০পার। দ্বিতীয়বার বাংলার মসনদে মমতা।
২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ও এমনই একটি স্টিং অপারেশন সামনে আসে। বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতা মিত্রকে ঘুষ নিতে দেখা যায়। পুরসভার কলের কানেকশন দিতে টাকা নিয়েছিলেন তিনি।
সেবার দেশে পাঁচ দফায় লোকসভা ভোট হয়। শেষ তিন দফায় ভোট হয় বাংলায়। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ভোট ছিল শেষ দফায়। সেই ভোটের আগের সন্ধেয় টিভিতে দেখানো হয় মিতা মিত্রের ঘুষ কাণ্ড। রাতারাতি ময়দানে নেমে পরে বামেরা। তখন সোশাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না। পোস্টারেই চলে প্রচার। কিন্তু সব ব্যুমেরাং। ৪২ আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই ১৯। জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং এসইউসিআই ৭। বামেরা ১৫। একটিতে বিজেপি। সেই থেকেই তৃণমূলের জয়যাত্রা শুরু।
এই ফলের সঙ্গেই চাপা পড়ে যায় মিতা মিত্রের ঘুষ কাণ্ড। ২০১০ সালের পুরভোটেও বিপুল সাফল্য পায় তৃণমূল। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের পতন। মিতা মিত্র নিয়ে আলোচনা হয়নি। ভোটের বাজারে দুইবার স্টিং বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। এবার স্টিং অস্ত্র নিয়ে পালটা আসরে তৃণমূল। কতটা লাভ হবে? নাকি এবারও বাংলায় ব্যুমেরাং হবে স্টিং অপারেশন? উত্তর মিলবে চৌঠা জুন।