নির্বাচনের আগে পাশে থাকার রাজনীতি ভোটপাখিদের!

‘সবসময় পাশে থাকি, তাই ভোট দিন’- চেনা সংলাপ। নেতারা (Political) বলে থাকেন। বাংলায় শাসকদল তৃণমূল বারবার বলে, বিজেপি নেতাদের শুধু ভোটের সময় দেখা যায়। বামেদের…

Political Scene Shining in Bengal Ahead of Elections

‘সবসময় পাশে থাকি, তাই ভোট দিন’- চেনা সংলাপ। নেতারা (Political) বলে থাকেন। বাংলায় শাসকদল তৃণমূল বারবার বলে, বিজেপি নেতাদের শুধু ভোটের সময় দেখা যায়। বামেদের আবার রেড ভলান্টিয়ার আছে। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও এমন দাবি করেন। তবে স্থায়ীভাবে পাশে থাকার ক্ষেত্রে তারা কিছুটা পিছিয়ে। ২০১৯ সালের আগে নকশালবাড়ি থেকে মেদিনীপুর এমন ঘটনার সাক্ষী।

কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে সবই ভোটের রাজনীতি। সাম্প্রতিক কয়েকটা উদাহরণ এর বড় প্রমাণ। কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গে টর্নেডো এল। সব লন্ডভন্ড। তড়িঘড়ি ছুটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের পাশে থেকে স্বান্তনা। ভবিষ্যতে পাশে থাকার বার্তা। নির্বাচনের বিধি উড়িয়ে ঘর তৈরির আশ্বাসও দিলেন। পরে বিজেপি নেতারাও গিয়েছিলেন।

সেই সময় উত্তরবঙ্গে ভোট হয়নি। ভোটের প্রচারে এটাকেই বড় অস্ত্র করে তৃণমূল। প্রচারে ঝড় ওঠে। ধাপে ধাপে উত্তরবঙ্গের ভোট শেষ হয়। তারপর আবার বিপর্যয়। ভোটের মাঝেই। বাজ পড়ে মালদায় অনেকের প্রাণ যায়। এক্ষেত্রে কিন্তু কোনও নেতারা মালদায় জাননি। মুর্শিদাবাদেও বজ্রপাতে বিপর্যয় হয়েছে। কলকাতার কোনও নেতাদের পা পড়েনি। তখন ভোট হয়ে গিয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে শুধু কি ভোটের আগে বিপর্যয় হলেই নেতাদের পাশে পাওয়া যাবে? ভোটের আগের স্মৃতি টাটকা রাখতে? রাজনীতিতে ভোট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটে জেতাও গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই মুখ্য হলে পাশে থাকার নাটক কেন?

ভোট শুরুর আগে উত্তরবঙ্গে টর্নেডো। আবার শেষ দফার ভোটের আগে দক্ষিণবঙ্গে সাইক্লোন। রেমালে বেসামাল। আবার পাশে থাকার বার্তা নিয়ে হাজির নেতারা। সোমবার বিপর্যস্তদের পাশে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এসব বিপর্যস্ত এলাকায় ভোট। আবারও সাহায্যের স্মৃতি ধরিয়ে রাখতে ভোটের মুখে ভোটারদের পাশে নেতা।

Advertisements

শনিবার শেষ দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার তিন আসনে ভোট। রেমালের বড় প্রভাব পড়েছে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এই পূর্ব মেদিনীপুরে আবার নেতাদের দেখা নেই। আগের দফায় ওই জেলার দুই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে।

পরপর ঘটনাক্রম নানা প্রশ্ন তুলে দেয়। নেতাদের গলায় থাকে নানা যুক্তি। ভোটারদের মুখে চেনা সুর, ‘ভোট ছাড়া নেতারা আসবেন কেন! এটাই তো নিয়ম।’