Ration Scam: মমতার প্রিয় ‘বালু’ ৪৫০ কোটি রেশন দুর্নীতিতে জড়িত: ইডি

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (ration scam) প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে বলা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কমপক্ষে ৪৫০ কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িত। তার হাত ধরেই…

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (ration scam) প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে বলা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কমপক্ষে ৪৫০ কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িত। তার হাত ধরেই এমন বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে জেলে আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর আগে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল ততকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। জেলে আছেন পার্থ। তৃণমূল জমানায় দুই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জেলে।  জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার খুবই ঘনিষ্ঠ।

রেশন দুর্নীতির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দুর্নীতি থেকে ৩৬ কোটি টাকা লাভবান হয়েছেন। এর মধ্যে ২২ কোটি টাকা ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, গম বণ্টনে ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির হিসেব সামনে এসেছে। ধান বণ্টনের দুর্নীতির কথাও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সরকারের ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের বিরুদ্ধে।

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের প্রথম চার্জশিট পেশ করে ইডি। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবর রহমান-সহ ১২ জনের। মোট ১৬২ পাতার চার্জশিটে যোগ করা হয়েছে পিএমএলএ ধারা। চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে প্রচুর নথি ও হার্ড ডিস্ক। সেই চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। বলা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র হাত ধরে কমপক্ষে ৪৫০ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে সরকারি কোষাগার থেকে কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায়। সেইসব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডির কাছে এবিষয়ে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছেন বাকিবুরের সংস্থার অডিটরের। রেশন দুর্নীতির যে ৪৫০ কোটি টাকার যে কথা উঠছে তা একেবারে সরকারি টাকা। ইডি গম বন্টন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে দুর্নীতির খোঁজ পান। ইডি জানিয়েছে যে, গম দুর্নীতিতে একশো কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষকদের কাছ থেকে যে সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান কেনা হয় তা কিনে নেয় সরকারি সংস্থা।

ইডির তরফে উল্লেখ করা হচ্ছে বাকিবুরের যিনি অডিটর ছিলেন তিনি স্বীকার করেছেন বাকিবুর রহমানের সংস্থার ৫০ কর্মচারী কৃষক নন। তাদের ভুয়ো কৃষক বানিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওইসব ভুয়ো কৃষকদের কাছে থেকে ধান কেনে রাজ্য সরকারের সংস্থা।  সেই ধান কেনার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি কর্পোরেশন লিমিটেড।আর সেই সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর হাত ধরেই ওই বিপুল টাকা রিলিজ করা হয়। সেই টাকা জমা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। ইডির তরফে বলা হয়েছে যে টাকা রিলিজ করা হয়েছে তার বিনিময় ধান কেনা হয়নি উল্টে টাকা চলে গিয়েছে ওই ৫০ জনের অ্যাকাউন্টে।