আগামীকাল নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন (Nabanna)পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, এডিজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতীম সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। আগামীকাল বিজেপির নেতৃত্বে নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। এদিকে কলকাতা হাই কোর্ট রায় দিয়েছে নবান্ন চত্বরে কোনো রকমের জটলা বা উত্তেজনামূলক কর্ম কান্ড করা যাবে না।
ঠিক এমনই হুঁশিয়ারি শোনা গেল রাজ্য পুলিশের এই তিন কর্মকর্তার গলাতেও। রাজ্য পুলিশের এই বৈঠকে তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক যেকোন সংগঠনের ই দাবি থাকতে পারে। প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। কিন্তু সেটা হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং নবান্ন থেকে দূরে। নবান্ন চত্বরে কোনোরকম অনিয়ম বা হিংসাত্মক প্রতিবাদ বরদাস্ত করা হবেনা বলেও জানিয়েছেন তারা।
কোনো রকমের সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হলে তার বিরুদ্ধেও অ্যাকশন নেবে পুলিশ। সুপ্রতিম সরকার বলেন হাওড়ার জন্য সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড প্রতিবাদের জন্য ঠিক করা হয়েছে। কলকাতায় রানী রাসমণি এভেন্যুয়ে এই প্রতিবাদ সভা করা যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
এর অন্যথা হলে তবে পুলিশ আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে। মনোজ ভার্মা বলেন প্রতিবাদকারীদের আগে থাকতে জানাতে হবে কত লোক হবে কটা গাড়ি থাকতে পারে। যাতে পুলিশের নজরদারি বাড়ান যায়। তিনি আরও জানান হাওড়া কিংবা কলকাতা বাদে অন্য কোথাও প্রতিবাদ হলে তাও আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে তা না হলে কোনো রকমের প্রতিবাদ মিছিল বা কর্মসূচি করতে দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত আগামীকালের এই বিশেষ নবান্ন অভিযানে অভয়া পরিবার উপস্থিত থাকবেন এবং তারাই সম্ভবত এই নবান্ন অভিযানকে নেতৃত্ব দেবেন। সুতরাং খুব সহজেই বলা যেতে পারে রাজ্য পুলিশকে আগে থেকে না জানালে আগামীকাল উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার সম্ভবনা থাকছে।
এই বৈঠকে কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে অভয়া পরিবার এই প্রতিবাদের ব্যাটন বিজেপির হাতে তুলে দিতেই এতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিয়েছেন পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কালকের নবান্ন অভিযান কোন দিকে মোড় নেয় তা ভবিষ্যৎ বলবে কিন্তু অভয়া পরিবারের নেতৃত্বে শুভেন্দু বাহিনী যে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাবে এবং পুলিশ যে তা প্রতিহত করবে এ কথা বলাই বাহুল্য।
রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাধীনতা দিবসের নৈশভোজে আমন্ত্রিত ঝাড়খণ্ডের ‘লেডি টারজান’
কিন্তু হাই কোর্টের রায় না মেনে যদি এই প্রতিবাদ হয় তাহলে তার ফল হবে বিপরীত। তবে সবচেয়ে আশংকার যে জুনিয়র ডাক্তাররা যারা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এই অভয়া কাণ্ডের পরে তারা এই প্রতিবাদে শামিল হবেন না যদি হতেন তাহলে হয়তো বিধিনিষেধ কিছুটা হলেও কম হতে পারত।