Police: রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি (BJP) নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা! গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার পুলিশ (Police)। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বিজেপির…

Bhupatinagar-Police-Station

কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি (BJP) নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা! গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার পুলিশ (Police)। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক পবিত্র মিদ্যাকে গ্রেফতার করতে তাঁর আত্মীয়ের হাজির হয় ভূপতিনগর থানায় পুলিশ।

বিজেপির অভিযোগ, কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই দলের নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। যদিও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। এই ইস্যুতে পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

   

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরের বরোজ মণ্ডলের সম্পাদক হলেন পবিত্র মিদ্যা। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাসুদেববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লাউদা গ্রামে উপস্থিত হন তিনি। অভিযোগ, সেখানেই আচমকা ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়।

পুলিশ দেখে কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিশ। প্রসঙ্গত, তিন দিন আগে ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নামে তৃণমূল কর্মীকে মারধর ও খুনের চেষ্টা অভিযোগ দায়ের হয়।

পুলিশের এমন আচরণের তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, মণ্ডল সম্পাদক পবিত্র মিদ্যার হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকার সত্ত্বেও আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল ভূপতিনগর থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ফেলে গ্রেফতারের কারণ জানতে চান। পুলিশ সদুত্তর দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, মণ্ডল সম্পাদক পবিত্র মিদ্যা সহ ২১ জনের হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেতাদের কথায় একজন মাতালকে ডেকে এনে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওসি হাইকোর্টে ক্ষমা চাওয়ার পরেও এখানে এসে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারবেন না উনি।

কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্যই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে একাধিকবার ফোন করা হলে উত্তর মেলেনি।