যে কোনও মাওবাদী বনধে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড দিয়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। মাওবাদীদের নাশকতার লক্ষ্য হয় রেল। লাইনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এবারও ২৬ জানুয়ারি (Republic Day) উদযাপনে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা। এ রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাও-বনধের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই দিন বনধ হবে বলে জানিয়েছে এই সংগঠনটি।
বনধে রেল চলাচলে বিঘ্ন হতে পারে হাওড়া-আসানসোল-ধানবাদ লাইনে। চক্রধরপুর-আদ্রা, হাওড়া-খড়্গপুর, খড়্গপুর-বাঁকুড়া-আদ্রা-রাঁচি লাইনে সর্বাধিক নাশকতার আশঙ্কা। প্রতিবেশি রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারের দিকে গোমো-আসানসোল এবং গয়া-আসানসোল ট্রেন লাইনেও বিস্ফোরণ, ছোট স্টেশনে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মাওবাদী পশ্চিমবঙ্গ ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সাংগঠনিক নাম ‘কিশোরদা’। সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তিনি। শীর্ষ মাওবাদী নেতার মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে NIA
এই মাওবাদী নেতা উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচ বি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকার বাসিন্দা। তার আরও বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে- বাবু, কিশোর, পঙ্কজ, ও অজয়। মাওবাদী ঘনিষ্ঠ কিছু মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, সব্যসাচীকে গ্রেফতার করা হলেও তার নথিভুক্ত তালিকা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
মোস্ট ওয়ান্টেড সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বেঙ্গল ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামী সম্প্রতি বারবার আলোচনায় এসেছিলেন। অভিযোগ, রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকার পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, সব্যসাচীর নেতৃত্বে জঙ্গলমহলের এলাকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার একেবারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখার গ্রামগুলিতে চলছে মাওবাদী সংগঠন।