কলকাতা: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ঘিরে ফের উত্তাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। ইডি-সিবিআইয়ের তল্লাশির সময় বারবার নিজের মোবাইল ফোন জলাশয়ে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ আগেই উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবারও তল্লাশি অভিযানের সময় পুকুরের দিকে মোবাইল ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও ফোনটি জলে না পড়ে পুকুরপাড়ে পড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে—কেন বারবার ফোন নষ্ট করতে চাইছেন বিধায়ক? ফোনের ভেতর লুকিয়ে আছে কী এমন তথ্য?
২০২৩-এর ঘটনায় নজির
এর আগে ২০২৩ সালে কান্দির বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশির সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাদ থেকে নিজের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন। পরে দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে সেই ফোনগুলি উদ্ধার করেছিল সিবিআই। সেখান থেকে পাওয়া কল রেকর্ডই তদন্তে এনে দিয়েছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক অডিয়ো phone record of jiban krishna saha
প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবরের একটি কল রেকর্ড। ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের এই কথোপকথনে চাকরিপ্রার্থীকে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গিয়েছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।
দু’জনের মধ্যে কথোপকথন খানিকটা এই রকম-
চাকরিপ্রার্থী টাকা ফেরত চাইলে প্রথমে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের আশ্বাস দেন বিধায়ক। সকল প্রার্থীকেই আংশিক টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি৷ জানান, বাকিটা সম্পত্তি বিক্রি করে ফেরত দেবেন৷ তিনি এও জানান, অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও তিনি অর্ধেক অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়েছেন। তবে বারবার পুরো টাকা ফেরত চাওয়ায় সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “বেশি খিটিমিটি করলে আমি কিন্তু দেব না। যা পারবে করো৷
তদন্তে নতুন প্রশ্ন
এই কল রেকর্ড সামনে আসার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার ভূমিকা নিয়ে আরও প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। একাধিক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি কল রেকর্ডেই সেই স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে আসায় তদন্তে নতুন দিক খুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে বহুদিন ধরেই রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে মোবাইল ফোনে লুকিয়ে থাকা ‘গোপন তথ্য’-ই এখন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অন্যতম বড় সূত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
West Bengal: TMC MLA Jeebankrishna Saha is again in the spotlight after allegedly throwing his mobile phone during a search operation. This incident follows a similar event in 2023. An explosive audio recording has now surfaced, revealing the MLA’s involvement in the recruitment scam.