Paschim Medinipur: সঠিক চিকিৎসার দাবিতে মন্ত্রী বীরবাহার পা ধরে রোগী পরিবারের কান্না

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল চিত্র। চিকিৎসা চেয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পা ধরলেন রোগীর পরিজন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মন্ত্রীর পা ধরে মেয়েকে সুস্থ…

Birbaha Hansda

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল চিত্র। চিকিৎসা চেয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পা ধরলেন রোগীর পরিজন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মন্ত্রীর পা ধরে মেয়েকে সুস্থ করার আবেদন পরিবারের। এবার কি চিকিৎসার জন্যও পায়ে ধরতে হবে রাজ্যের মন্ত্রীর? মেডিক্যাল কলেজেও ভুল চিকিৎসা? উঠছে প্রশ্ন।

Advertisements

আরও পড়ুন: Amit Shah: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ, অমিত শাহর দাবিতে সরগরম সীমান্ত 

বিজ্ঞাপন

কোন গ্রামীণ হাসপাতাল নয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার কাতর আবেদন, পায়ে ধরলেন মন্ত্রীর।

গতকাল দফায় দফায় হয়েছে অপারেশন। দেখা হয়নি রোগীর শারীরিক অবস্থা। দফাই দফায় অপারেশনের পরেও সংকটজনক রোগীর অবস্থা ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগের আত্মীয়রা। হয়েছিল অ্যাপেনডিক্স তার অপারেশন তো নরমাল ভাবেই চিকিৎসা করা যায় তাহলে কিভাবে হয়ে উঠল রিস্ক। দায় কি ডাক্তারেরই?

মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলছেন, “আমরা বাচ্চাটিকে দেখে এসেছি আমরা চেষ্টা করব যাতে ভালোভাবে চিকিৎসা করা যায়।” রোগী পরিজনদের সাথে দেখা করে তাদের আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী। সেই সময়ই রোগের পরিজনদের পায়ে ধরতে দেখা যায় মন্ত্রীর। কাতর আবেদন মেয়েকে ফিরিয়ে আনুন।

রোগীর মায়ের কথায়, আমার মেয়েকে বাঁচাতে হবে। টেস্ট না করিয়ে করা হয়েছে অস্ত্রোপচার। ছোট ডাক্তার দেখিয়ে করা হয়েছিল পরীক্ষা তাতেই জানা যায় মেয়ের অ্যাপেন্ডিক্স আছে আর সেই রিপোর্টেই সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শুধুমাত্র অস্ত্রোপচার করে নিলেন মেডিকেল কলেজের ডাক্তার। অষ্টম শ্রেণীর আগে না হয়েছে কোন চিকিৎসা না হয়েছে কোন পরীক্ষা এমনই অভিযোগ তুলছেন রোগীর পরিজনরা। চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে তাদের সন্তান। গতকাল রাতে হয়েছে হার্ট অ্যাটাক তাও জানানো হয়নি রোগীর পরিবারকে। অশো বছরের পর থেকে আর দেখতে যায়নি ডাক্তার কোন কথা বলা হয়নি রোগীর পরিবারের সাথে। এখনো পর্যন্ত কেমন আছে আমার মেয়ে তা জানা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এর আগে রাস্তার জন্য পায়ে ধরতে হয়েছিল বিধায়কের। মালদার বামন গোলা রাস্তার জন্য আবেদন করে ধরতে হয়েছিল বিধায়কের পা। এ প্রসঙ্গে, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলছেন, সব সময় মনে রাখবেন কাকে মসনদে বসাচ্ছেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী নিজেই। আজকের দিনে পশ্চিমবঙ্গের যে অত্যাচারিত তৃণমূল কংগ্রেস দল রয়েছে যারা শাসক তারা চান পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষ তাদের পা ধরুক। তাই স্বাস্থ্যের জন্য পা ধরতে হবে, রাস্তার জন্য পা ধরতে হবে, ভর্তির জন্য পা ধরতে হবে। যেভাবে এটা চলছে এটা অসুস্থ মানসিকতা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই শাসককে উৎখাত করতে হবে।