কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) গণনা। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রথমে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং শেষে জেলাই পরিষদের। ৩৩৯ টি কেন্দ্রে গণনা চলছে। সকাল থেকেই চলছে গণনা। চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও প্রচুর লিডে এগিয়ে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সকল মা-মাটি-মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।“
দক্ষিণবঙ্গের নন্দীগ্রামে গেরুয়া শিবির দারুণ ফল করলেও উত্তরে ফলাফল সন্তুষ্টপূর্ণ হলনা। দক্ষিণে ভালো লিড দিয়ে উত্তরের ফল নিয়ে চিন্তিত দলীয় নেতারা। মালদহে ৮৫৫ গ্রামপঞ্চায়েতে এগিয়ে তৃণমূল, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। দার্জিলিংয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে অনীত থাপার বিজিপিএম, অনেক পিছিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি। কালিম্পংয়ে বিজিপিএমের জয়জয়কার, তৃণমূল রয়েছে বিজেপিরও পিছনে।
ওদিকে, আলিপুরদুয়ারে গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির, লড়াই জারি রয়েছে বিজেপির। কোচবিহারে গ্রাম পঞ্চায়েতের পর পঞ্চায়েত সমিতিতেও এগোচ্ছে তৃণমূল। গণনা যত এগোচ্ছে জলপাইগুড়িতে বিজেপির থেকে ব্যবধান বাড়াচ্ছে তৃণমূল।
উত্তর দিনাজপুরের পঞ্চায়েতে ৭২২ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, পিছন পিছন ছুটছে বিজেপিও। দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েতে ৫০০ পার ঘাসফুলের, পিছিয়ে থেকেও জোর লড়াই বিজেপির।
মালদহে ১৪৬টি পঞ্চায়েত। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যখন ৫০টি’তে বোর্ড গঠনের পথে। উত্তরবঙ্গে অন্যান্য জেলায় বিজেপির ফলাফলে চিন্তিত দলীয় নেতারা।