পর্যবেক্ষক কম: সামাল দিতে এবার প্রাথমিক শিক্ষক মাধ্যমিকে

সপ্তাহের প্রথম দিনেই শুরু হলো জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষা মাধ্যমিক। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংখ্যা কম হওয়ার কারণে আলিপুরদুয়ার জেলার বহু পরীক্ষা কেন্দ্রেই পর্যবেক্ষক কম। এবার আলিপুরদুয়ার জেলাতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০৬৫জন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল গুলি থেকে পর্যবেক্ষক নিয়ে আসার কারণে সেখানকার পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন জানান প্রত্যেক বছরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল গুলি থেকে শিক্ষক দেওয়া হয় পর্যবেক্ষক হিসেবে।

Advertisements

এবার প্রায় ১৩৮ জন শিক্ষক পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন তার মধ্যে ৪০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গেছে। এই সময় প্রাথমিক স্কুল গুলি বন্ধ থাকার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এই দায়িত্বের জন্য। এবারে আলিপুরদুয়ার এর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে কন্ট্রোলরুম তৈরী করা হয়েছে। বন বিভাগের উদ্যোগে পথে নেমেছে ঐরাবত বাহিনী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা।

আলিপুরদুয়ার জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেখানে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাটি শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার উপরই প্রভাব ফেলছে না, বরং ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যতের উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে। তবে, প্রশ্ন উঠছে—আলিপুরদুয়ারের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক কম কেন?

Advertisements

আলিপুরদুয়ারে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ কিছু সময় ধরে থমকে রয়েছে। বহু স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদ পূর্ণ হয়নি। সরকারি নিয়োগে ধীরগতি, প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় দেরি হওয়া শিক্ষক সংকটকে আরও প্রকট করেছে। এই শূন্যপদগুলির কারণে শিক্ষকরা একাধিক ক্লাসে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন, যার ফলে তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর্যবেক্ষক নিয়োগের উপরে।