কলকাতা, ২৮ নভেম্বর ২০২৫: শীতের প্রথম ঝলক এখন বাংলার গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস (আইএমডি)-এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, আজ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি নিচে নামবে। উত্তর বঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডা আরও তীব্র, যেখানে দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে, আর কলকাতায় ১৭.১ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও, সকাল-সন্ধ্যায় কুয়াশার আবির্ভাব হতে পারে।
নতুন নীতিতে সংসদ ভবনে CISF মোতায়েন আরও কঠোর হল
উত্তর বঙ্গের জেলাগুলোতে—দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পূর্ব বর্ধমান—আজ মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। আইএমডি-এর কলকাতা অফিসের বুলেটিন অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, কিন্তু সর্বনিম্ন ১৪-১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে আসবে।
দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে সকালে কুয়াশা ঘন হতে পারে, যা দৃষ্টিসীমা কমিয়ে যানজনিক যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করবে। স্থানীয়রা বলছেন, “আজ সকালে ঠান্ডা এতো যে, চায়ের কাপ হাতে না নিলে শরীর জুড়োচ্ছে।” আলিপুরদুয়ারে গতকাল রাতের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি ছিল, আজ আরও কমার সম্ভাবনা।কৃষকরা এই আবহাওয়ায় সতর্ক। ধান কাটার সময় চলছে, আর ঠান্ডা নামলে শস্যের উপর শিশির পড়ে নরম হয়ে যায়।
জলপাইগুড়ির এক কৃষক বললেন, “শুষ্ক আবহাওয়া ভালো, কিন্তু ঠান্ডা বাড়লে ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়।” আইএমডি জানিয়েছে, পরবর্তী ২ দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি নামতে পারে, তারপর ধীরে ধীরে বাড়বে। কোনো বৃষ্টির সতর্কতা নেই, যা কৃষকদের জন্য স্বস্তির খবর। তবে, পাহাড়ি এলাকায় ল্যান্ডস্লাইডের ঝুঁকি নেই, কারণ বৃষ্টিহীনতা।
দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে—হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা—আজও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৭-১৮ ডিগ্রি থাকবে। শ্রীনিকেতনে গতকাল ১৪.৪ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে, আজও অনুরূপ। আইএমডি-এর সাত দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, “দক্ষিণ বঙ্গে পরিষ্কার আকাশ, কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।”
সকালে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে, যা দূরদৃষ্টি কমাবে।শহরবাসীরা এই আবহাওয়ায় বাইরে বের হতে পারবেন, কিন্তু সন্ধ্যা হলে গরম কাপড়ের প্রয়োজন। একজন অফিসগামী বললেন, “দিনে গরম লাগে, রাতে ঠান্ডা। এই মিশ্র আবহাওয়ায় অ্যাকও সেটিংস ঠিক করা কঠিন।” পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় শুষ্কতার কারণে জঙ্গলের আগুনের ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। কলকাতার বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট বিলম্বের খবর নেই, কিন্তু সকালের ফ্লাইটগুলোতে কুয়াশার প্রভাব পড়তে পারে।
