মণিপুরের মতো ঘটনা বলে যা প্রচার চলছে সেরকম নয়, তবে মহিলা বিবস্ত্র তা স্পষ্ট। হাতাহাতি, চড় চাপটা চলছে, এক সিভিক মহিলা রক্ষী আক্রান্ত মহিলাকে বাঁচাচ্ছেন। মালদার (Malda) পাকুয়াহাটে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় কোনও পুরুষের উপস্থিতি নেই তা ভিডিও থেকেই স্পষ্ট। আর মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটাচ্ছিল পুরুষরা। উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। দুই রাজ্যের দুই ঘটনার কারণও ভিন্ন। বিজেপি শাসিত মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ আর তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে চুরির অভিযোগে মারধর। তবে দুটি ক্ষেত্রেই মহিলারা আক্রান্ত।
মালদার পাকুয়াহাটের যে ঘটনা নিয়ে বিতর্ক (কলকাতা ২৪x৭ এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি) সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র চেঁচামেচি চলছে। এক মহিলাকে ঘিরে ধরে জনা কয়েক মহিলা মারধর করছেন। আক্রান্ত মহিলার পোশাক ছিঁড়ে গেছে। আর মণিপুরের ঘটনায় দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছে। দুটি ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মালদায় আক্রান্ত মহিলাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মালদার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার দেখা যাচ্ছে, হামলার সময় মহিলা সিভিক কর্মী আক্রান্তকে রক্ষা করতে আপ্পাণ চেষ্টা করছেন। মণিপুরে দুই মহিলাকে ছেড়ে পালিয়েছিল পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব। আর বিজেপি নেতাদের দাবি, বাংলাতেও মহিলাদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মণিপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মালদার পাকুহাটের ঘটনার অভিযোগর সারবত্তা নেই। দুই রাজ্যের দুই শাসক দলের বিরুদ্ধে সিপিআইএম ও কংগ্রেসের কটাক্ষ চলছে।