BJP: বিজেপির মন্ত্রী জন বারলার গোপন দূতের যোগাযোগ, তৃণমূলের নীরবতায় বাড়ছে সাসপেন্স

গোপন কথাটি রবে না গোপনে। উত্তরের হাওয়ায় হুহু করে ছড়াচ্ছে একটি বার্তা বিজেপির (BJP) বারলা যাচ্ছে তৃণমূলে। তবে তৃণমূল নীরব। এই নীরবতা তৈরি করেছে সাসপেন্স। …

গোপন কথাটি রবে না গোপনে। উত্তরের হাওয়ায় হুহু করে ছড়াচ্ছে একটি বার্তা বিজেপির (BJP) বারলা যাচ্ছে তৃণমূলে। তবে তৃণমূল নীরব। এই নীরবতা তৈরি করেছে সাসপেন্স। 

বঙ্গ বিজেপিতে এই মুহূর্তে সবথেকে আলোচিত দুই নেতার নাম পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। ঘটনাচক্রে শনিবার দুজনই আলিপুরদুয়ারে। সদ্য বিজেপি হওয়ার অভিজিত বাধ্য সৈনিক। দলীয় নির্দেশ মেনে তিনি মোদীর মঞ্চে থাকবেন। এখানেই তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচির অভিষেক হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা বিজেপির উপরেই রেগে কাঁই। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আনার ঝুলোঝুলি চলেছে। তবে বারলা বেঁকে বসেছেন।

   

হিন্দিতেই বেশি সাবলীল। দুটো বাংলা বাক্য বললে তার অর্ধেক শব্দ হিন্দিতে বলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে এবার তাঁকে প্রার্থী না করে  মনোজ টিগ্গাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এরপর প্রকাশ্যে বারলা বিদ্রোহ শুরু করেছেন। তিনি মোদীর সভায় গেলে সেখানেই না বিদ্রোহের আগুন উস্কে দেন এ নিয়েও ভীত বিজেপি। জল মাপছে তৃণমূল।

জানা যাচ্ছে, বারলাকে দলে টানবে তৃণমূল। বারলার অবস্থান জানাতে বিশেষ দৌত্য চলছে। তৃ়নমূলের কাছে সেই দূতের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন বারলা। তবে দুপক্ষই নীরব। জন বারলার মতোই বিদ্রোহী কার্সিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ বজগায়েন। তিনিও তৃণমূলে ঢুকতে পারেন বলেই উত্তরের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে।

তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সাংসদ-বিধায়ক লেনদেন চলছে বলে কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম। বাম শিবিরের বক্তব্য, দুই দলের এই সম্পর্ক রাজ্যবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। কংগ্রেসের দাবি, উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায় উত্তর দিনাজপুর ও মালদহে তৃণমূল ও বিজেপির ধস নামছে।