লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ! ৫ হেভিওয়েট নেতাকে বিরাট শাস্তি দিল তৃণমূল

লোকসভা ভোটে বাংলায় কার্যত সবুজ ঝড় (TMC) দেখা গিয়েছে। ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১২টি আসন। ভোটের…

লোকসভা ভোটে বাংলায় কার্যত সবুজ ঝড় (TMC) দেখা গিয়েছে। ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১২টি আসন। ভোটের ফলে সন্তুষ্ট হলেও তৃণমূলের অন্দরের খবর, বেশ কিছু আসনে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে জেতা যায়নি।

আর তাই ভোট মিটতেই দলীয় স্তরে অনুসন্ধান শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত নেতাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো বা অন্য কোনও ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ মিললেই জেলায় জেলায় নেতাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে।

   

কোচবিহার লোকসভা আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া জিতলেও একাধিক এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। আর তাই একেবারে বুথ ধরে ধরে পর্যালোচনা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ উঠেছে এসেছে। ওই ৫ নেতাকে বড় শাস্তি দিল জোড়াফুল শিবির।

আদালতের নির্দেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের পার্টি অফিস, চলল বুলডোজার

প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,পঞ্চায়েত সদস্য ও একজন বুথ সভাপতি সহ দলের মোট পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসে। কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেন।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মজিবুল হক, কোচবিহার-১ হাড়িভাঙ্গা অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মোস্তফা আলি মিয়াঁ, কোচবিহার-২ ব্লকের ৩/১৩৪ বুথের সভাপতি জলধর বর্মন, কোচবিহার-২ ব্লকের ঢাংঢিংগুড়ি অঞ্চলের নেতা অমরেশ বর্মন ও টাকাগাছ রাজারহাট অঞ্চলের নেতা জাকির হোসেন।

‘ব্যবস্থা করতে হবে…’, মোদীর মন্ত্রীকে কড়া ‘ধমক’ মমতার

এই ৫ জনের মধ্যে প্রথম দু’জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বুথে খরচ করার অভিযোগ রয়েছে। আর বাকি তিনজন এবারের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ।