মাদারিহাট উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয় প্রকাশ টোপ্পোর (Joy Prakash Toppo) প্রচারের সময় হেভেন শেল্টার হোম পরিদর্শন এক আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দেয়। প্রচারের ব্যস্ততার মাঝেও হঠাৎই হেভেন শেল্টার হোমে উপস্থিত হয়ে প্রার্থীর মানবিক চেতনা এবং জনসেবার প্রতি অঙ্গীকারকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেন তিনি। তাঁর এই সফর প্রচারের অংশ ছিল না, বরং নিজের একান্ত ইচ্ছায় তিনি এই আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছান। তৃণমূল প্রার্থী জয় প্রকাশ টোপ্পো শিশু ও বৃদ্ধদের আশীর্বাদ নেন, যা দেখে হেভেন শেল্টার হোমের আবাসিকরা আপ্লুত হন।
হেভেন শেল্টার হোমে সবার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মেলামেশা এবং আবেগঘন মুহূর্তগুলো মনে করিয়ে দেয় তাঁর দীর্ঘকাল ধরে চালিয়ে যাওয়া জনসেবার প্রচেষ্টাকে। ২০১৮ সালে শেল্টার হোমটির সহ-প্রতিষ্ঠা করেন টোপ্পো এবং তাঁর ছোটবেলার বন্ধু সাজু তালুকদার। এর আগেও, ২০০৩ সালে টোপ্পো এবং সাজু একত্রে বন্যার ত্রাণ বিতরণ করেছিলেন, যা থেকেই তাদের জনসেবার যাত্রা শুরু হয়। তাঁদের উদ্যোগে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিরসা মুন্ডা ক্লোথস ব্যাঙ্ক, যা একটি ২৪ ঘণ্টার পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থা। এই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে পোশাক সরবরাহ করা হয়।
তৃণমূল প্রার্থীকে হেভেন শেল্টার হোমের বাসিন্দারা গভীর ভালোবাসা ও সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁকে ঘিরে থাকা শিশু ও বয়স্কদের মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। শেল্টার হোমের সদস্য ছত্রে দর্জি বলেন, “আমরা চাই জয় প্রকাশ টোপ্পো বিপুল ভোটে জয়ী হোন।” বাসিন্দা সমর চক্রবর্তী এবং পিঙ্কি বিশ্বাসও আশাবাদী টোপ্পোর সাফল্যের ব্যাপারে।
শেল্টার হোমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাজু তালুকদার বলেন, “জয় প্রকাশ, যাকে আমরা আদর করে বাবলু বলে ডাকি, বরাবর জনসেবায় উৎসাহী। ২০০৩ সালে আমরা একসাথে বন্যার ত্রাণ বিতরণে নেমেছিলাম এবং মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করেছিলাম। ২০১৩ সালে আমরা পোশাক ব্যাঙ্ক চালু করি। এরপর গৃহহীনদের জন্য শেল্টার হোম গঠনের উদ্যোগ নিই।”
হেভেন শেল্টার হোমে টোপ্পোর সফর প্রচারের চেয়ে আবেগের বহিঃপ্রকাশই বেশি ছিল। প্রচারে তিনি থাকলেও তার প্রতিটি কাজেই ছিল জনসেবার স্পষ্ট প্রতিফলন।


