ট্যাব কেলেঙ্কারিতে আলিপুরদুয়ারের ওষুধ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) অভিযোগে এবার আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চৌপথি এলাকার এক ওষুধের দোকানের মালিক প্রবীর দাসকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিশেষ দল।…

matrimony scam

ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) অভিযোগে এবার আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চৌপথি এলাকার এক ওষুধের দোকানের মালিক প্রবীর দাসকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিশেষ দল। শনিবার গভীর রাতে প্রবীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

অভিযোগ ও গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপট
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবীর দাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ট্যাব কেলেঙ্কারির টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে ঠিক কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি। এই গ্রেপ্তারের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরপাড়া এলাকায়।

   

পরিবারের দাবি: ষড়যন্ত্রের শিকার
প্রবীর দাসের বাবা পঞ্চানন দাস এই ঘটনায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, “আমার ছেলে কোনোভাবেই ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত নয়। ও সারাদিন ওষুধের দোকান ও ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমরা আইনি লড়াইয়ে যাবো।” পরিবারের ধারণা, কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া
প্রবীরের গ্রেপ্তারের খবরে হতবাক এলাকাবাসী। স্থানীয় সাইকেল দোকানের মালিক বাবুল সরকার বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ছোটো থেকে বড় হয়েছে প্রবীর। সৎ ছেলে হিসেবে সবাই জানি। কিন্তু কীভাবে ও এই চক্রে জড়িয়ে পড়লো, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের ধারণা, ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

আরেক বাসিন্দা বলাই সাহা জানান, “গতকাল রাতে বাইরের জেলা থেকে পুলিশ এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি ট্যাব কেলেঙ্কারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ওর নামে এর আগে কোনো খারাপ কিছু শুনিনি।”

পুলিশের অবস্থান
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী জানিয়েছেন, “ট্যাব কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে বিধাননগর কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্যরা প্রবীর দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। এর বেশি কোনো তথ্য আমার জানা নেই।”

ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে বড় চক্র?
ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনা কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় আলোড়ন ফেলেছে। বেশ কিছু অসাধু চক্র ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের ট্যাব কেনার টাকায় দুর্নীতি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রবীর দাসের গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের একটি চক্রের সঙ্গে তার মতো ছোট ব্যবসায়ী কীভাবে যুক্ত হলেন।

আইনি লড়াইয়ে প্রস্তুত পরিবার
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত আইনজীবীর সাহায্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের অগ্রগতি আগামী দিনে পরিষ্কার করবে প্রবীর দাস আসলেই অভিযুক্ত, নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে এই ঘটনায় আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাগুলি যাতে আরও ভালোভাবে তদন্তের আওতায় আসে, তা নিয়ে জোর দাবি উঠেছে।