আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে আবহাওয়া মূলত আংশিক মেঘলা থাকবে (Weather Report)। কিন্তু বর্ষার নিম্নচাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি এর পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তরবঙ্গের হিমালয়ীয় অঞ্চলে বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি বেশি। দক্ষিণবঙ্গে গাঙ্গেয় অঞ্চলে আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
তাপমাত্রা সর্বত্র ২৬ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, কিন্তু উচ্চ আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। এই পূর্বাভাসের ভিত্তিতে জনগণকে বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখতে এবং বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের কথা বললে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এবং পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডির বুলেটিন অনুসারে, হিমালয়ীয় পশ্চিমবঙ্গে ১৫ সেপ্টেম্বরকে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে, যা বন্যা বা ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৪-২৬ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। বাতাসের গতি ১০-১৫ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে, কিন্তু বজ্রপাতসহ ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে অসম এবং সিকিম থেকে আসা মেঘের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে, এবং ১৫ তারিখেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে এবং যাত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বর্ধমান এবং অন্যান্য জেলায় আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে।
আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রপাত হতে পারে, কিন্তু গ্যাঙ্গেটিক অঞ্চলে ১৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৬-২৮ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৯০ শতাংশের মধ্যে থাকায় দমকা গরম অনুভূত হবে।
কলকাতায় বিশেষ করে দুপুরের দিকে মেঘলা আকাশ দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণবঙ্গে গড়ে ১৫-২২ দিন বৃষ্টি হয়। ১৫ তারিখেও এই প্রবণতা দেখা যাবে। তবে, বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় কৃষকরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন, কারণ ধানের ফসলের জন্য এই হালকা বৃষ্টি উপকারী।
সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া সাধারণত বর্ষাকালীন থাকে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ২৬-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃষ্টির দিন ১৭টিরও বেশি হয়। উত্তরবঙ্গের হিমালয়ীয় অঞ্চলে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বেশি থাকে, যা বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি করে।
BMW-র ধাক্কায় অর্থ মন্ত্রকের উপসচিবের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী
গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টির কারণে নদীগুলির জল বেড়েছে, এবং ১৫ তারিখে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে কলকাতার মতো শহরগুলিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা কম হলেও, উচ্চ আর্দ্রতা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্টের রোগ বাড়তে পারে।