রবিবার ফের উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গ, ১২ অক্টোবর: গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশে প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত, নদী তীরবর্তী এলাকা, পাহাড়ি পথ এবং নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও ভূমিধসের…

Mamata Banerjee is visiting North Bengal today to assess flood-affected

উত্তরবঙ্গ, ১২ অক্টোবর: গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশে প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত, নদী তীরবর্তী এলাকা, পাহাড়ি পথ এবং নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও ভূমিধসের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যার প্রকোপে একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, আর এর জেরে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অনেক এলাকা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে পুনরুদ্ধারের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, আরও সক্রিয় সহায়তার প্রয়োজন ছিল। এমন অবস্থায় উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি পরিদর্শন এবং বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে আজ আবারও উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কলকাতা থেকে সরাসরি বাগডোগরায় পৌঁছাবেন। সেখানে পৌঁছানোর পর, দুপুর একটার দিকে তিনি হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে যাবেন, যেখানে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য ও পুনর্বাসনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরের উদ্দেশ্য প্রধানত বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর পুনর্গঠন এবং সেখানে থাকা মানুষদের সহযোগিতা করা। সরকারিভাবে সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁদের সমস্যাগুলি জানার চেষ্টা করবেন।

Advertisements

এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উত্তরবঙ্গ সফর, যেখানে তিনি বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের তদারকি করবেন। ৮ অক্টোবর তিনি প্রথমবার উত্তরবঙ্গে যান এবং সেসময় একাধিক বন্যাদুর্গত অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের হাতে ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে তাঁর দলের সমন্বয়ে কাজ করবেন বলে জানান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশ্য শুধু ত্রাণ কর্মসূচির তদারকি নয়, বরং তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নও পর্যালোচনা করবেন। তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন কৃষি সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে। বিশেষত, বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসব প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।