অবৈধ বালি পাচারে কড়া পদক্ষেপ, মাথাভাঙ্গায় আটক ৫ ডাম্পার

অয়ন দে,কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerje) কড়া নির্দেশের পর অবৈধ বালি পাচারের (Illegal Sand Smuggling) বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব…

Mamata Banerjee Crackdown on Illegal Sand Smuggling: 5 Dumpers Seized in Mathabhanga

অয়ন দে,কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerje) কড়া নির্দেশের পর অবৈধ বালি পাচারের (Illegal Sand Smuggling) বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটায় কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বালিবোঝাই ডাম্পার আটক করেছে দপ্তরের আধিকারিকরা। এই ডাম্পারগুলির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অবৈধ পাচারের অভিযোগ স্পষ্ট হয়েছে।

Read Hindi: अवैध रेत तस्करी पर ममता बनर्जी के सख्त निर्देश, माथाभंगा में 5 डंपर जब्त

   

সূত্রের খবর, মেখলিগঞ্জের নয়া বন্দর এলাকায় জলঢাকা ও সুতুঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে গোপনে পাচার করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত পরিমাণে বালি পরিবহনের ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এই অভিযানে ডাম্পারগুলি আটক করা হলেও, নদী থেকে বালি উত্তোলনের উৎসস্থলগুলি বন্ধ না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের মদতেই এই অবৈধ কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চলছে।

সম্প্রতি পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণে নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে, যা বালি উত্তোলনকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে। বৃহস্পতিবার ডায়না নদীতে স্রোতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এমন বেআইনি কার্যকলাপ চলছে, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ। তারা বলছেন, নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে, যা পরিবেশ ও কৃষির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

Advertisements

বিরোধী নেতা বিশ্বজিৎ দাস অভিযোগ করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বারবার অবৈধ পাচার বন্ধের নির্দেশ দিলেও, স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বালি মাফিয়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “নদী থেকে বালি উত্তোলনের মূল চক্রটি ভাঙা না হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।”

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আটক ডাম্পারগুলির চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভূমি দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও বলেন, নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে নজরদারি বাড়ানো হবে এবং চেকপোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, অনেকে মনে করছেন, যতক্ষণ না উৎসস্থলে বালি উত্তোলন বন্ধ না হবে, ততক্ষণ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এই ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।