Malbazar Flash Flood: রাত বাড়ছে জল বাড়ছে, বিজয়া স্মৃতি উস্কে মালবাজারে ফের আতঙ্ক

এবার কি পুরো মালবাজার (Malbazar) ডুবে যাবে? শনিবার রাতে চরম আতঙ্কিত মালবাজারের বাসিন্দারা। মাত্র বিজয়া দশমীর দিন ভয়াবহ হড়পা (হড়কা) বানে অনেকে নিখোঁজ এখনও। সরকারি…

এবার কি পুরো মালবাজার (Malbazar) ডুবে যাবে? শনিবার রাতে চরম আতঙ্কিত মালবাজারের বাসিন্দারা। মাত্র বিজয়া দশমীর দিন ভয়াবহ হড়পা (হড়কা) বানে অনেকে নিখোঁজ এখনও। সরকারি হিসেবে মৃত ৮ জন। এই বিসর্জন বিপর্যয়ের পর ফের মালবাজার জুড়ে ভয় ছড়াল। বিকেল থেকে ফের মাল নদীতে(Mal River) বান এসেছে।

  • মালবাজারে চরম আতঙ্ক। মাল নদীর জল উপচে আসছে।
  • বিজয়া দশমীর বিপর্যের পর আবার ফুঁসছে নদী।
  • লক্ষ্মীপূজার দিন ১৯৬৮ সালে জলপাইগুড়ি ডুবেছিল তিস্তা-করলার বন্যায়।
  • বহু মৃত্যুর সেই স্মৃতি এবারও লক্ষ্মীপূজায় ফিরেছে।

বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন:

বিজয়া দশমীর বিপর্যয়ের পর ফের ফুঁসছে মাল নদী।জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জন্য মাল নদীতে ফের বান এসেছে। ভুটান পাহাড় ও কালিম্পং জেলায় হচ্ছে বৃষ্টি। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন মাল নদীতে নতুন করে বান আসায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।  প্রশাসন যে সবদিক থেকে প্রস্তুত।

বিজয়া দশমীর দিন আচমকা বান চলে এসেছিল মাল নদীতে। দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় বান চলে আসে। নদীর গর্ভে নামা বহু দর্শনার্থী ভেসে যান। এই নিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ও মালবাজার পৌরসভা।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রথম অভিযোগ তোলেন, মাল নদীতে বালির বস্তা ফেলে স্রোতের গতিপথ ঘোরানো হয়। এর জন্য দর্শনার্থীদের ভাসিয়ে নেয় নদী। মলাবাজার পরিদর্শন করে বিজেপি প্রতিনিধি দল একই দাবি করে। তৃ়ণমূল কংগ্রেসের দাবি, প্রতিবছরই এমন করে বাঁধ দিয়ে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, পাহাড়ি নদীতে কখন বান আসবে কেউ বলতে পারেনা।

মাল নদীতে এই বিপর্যয়ের মাঝে ফের শনিবার থেকে জলস্ফীতির জেরে ল্ক্ষ্মী পূজার আগে আরও আতঙ্কের পরিবেশ।

পডুন সেই ভয়াবহ বন্যার কথা। কোজাগরী পূর্ণিমায় কালো ছায়া

কোজাগরী চাঁদ ঢেকেছিল মেঘে, তিস্তার বানে লক্ষ্মীপূজার রাতে জলপাইগুড়িতে ছিল মৃত্যুমিছিল

জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯৬৮ সালে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন তিস্তা ও করলা নদীর ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি এখনও জেলাবাসীর কাছে ভয়াবহ এক ঘটনা। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ দশক আগে।