উত্তরবঙ্গ, ১২ অক্টোবর: পর্যটনের মরশুমে এক বড়সড় ধাক্কা। ১৩ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার দিন বন্ধ থাকবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি (North Bengal) থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং, বা চিত্রে যাওয়া এই রাস্তাটি একমাত্র ভরসা বহু পর্যটকের জন্য। এই সময়টায় রাস্তাটি বন্ধ থাকায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে চলেছেন পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ।
এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম (NHAI)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই চার দিনে সড়কের একাধিক ধসপ্রবণ এলাকা ও বিপজ্জনক পয়েন্টে মেরামতির কাজ করা হবে। বিশেষত কালিম্পংয়ের চিত্রে লাগোয়া গেইলখোলায় সম্প্রতি সৃষ্ট ‘সিঙ্কহোল’ বা রাস্তার গর্তই প্রশাসনকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। দিন কয়েক আগেই চিত্রে সংলগ্ন গেইলখোলায় হঠাৎ করে মাটি ধসে তৈরি হয় এক গভীর সিঙ্কহোল। এই অংশ দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাস্তার অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
এর আগেও এই এলাকায় একাধিকবার ধস নামার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বিগত কয়েক বছরে বহুবার গ্যাংটক-শিলিগুড়ি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এবার আগেভাগেই মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে NHAI।
তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই শুরু হয়েছে হিমালয় সংলগ্ন পর্যটন মরশুম। কালীপুজো, দীপাবলি, ছট – একের পর এক ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে দার্জিলিং, গ্যাংটক, কালিম্পং, রাভাংলা, জুলুক প্রভৃতি পাহাড়ি এলাকায়। সড়ক বন্ধ থাকলে বুকিং বাতিল হতে পারে হাজার হাজার।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাস ধরেই রাস্তার বেহাল দশা, ধস ও যানজটের কারণে বহু পর্যটক বিকল্প গন্তব্য খুঁজে নিচ্ছেন। এবার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে তাঁদের ক্ষোভ তুঙ্গে। অনেকে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন হলে বিকল্প রাস্তাগুলি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে।