জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দুর্নীতি, অধ্যক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতির

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে তার এজলাসে৷ চাকরি প্রার্থীদের কাছে দেবতূল্য৷ সারা রজ্যজুড়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ থেকে একের পর…

Abhijit Gangopadhyay jalpaiguri

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে তার এজলাসে৷ চাকরি প্রার্থীদের কাছে দেবতূল্য৷ সারা রজ্যজুড়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ থেকে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ, ২০২১ সাল থেকে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আটজন ওয়ার্কশপ ইনস্ট্রাক্টরের চাকরি চলে যায়। চাকরি পুনর্বহাল আর্জি জানিয়ে পাঁচজন মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। সোমবার মামলার শুনানি চলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে।

এদিন মামলা চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায়। কর্মচ্যুত ইনস্ট্রাক্টররা কেন কাজে বহাল হননি, তা জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ উত্তরে অধ্যক্ষ জানান, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবটা জানিয়েছেন। বিচারপতি এরপরই জানতে চান, তিনি এরপর কী করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় নীরব ছিলেন। এরপরই বিচারপতি আদেশ দেন, আগামী ৩০ অগাস্টের মধ্যে মামলাকারীদের প্রত্যেককে কাজে ফেরাতে হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ কোনও বেতন পাবেন না।

অধ্যক্ষ অমিতাভ রায়ের হয়ে সওয়াল জবাব করছিলেন আইনজীবী এষা আচার্য৷ তিনি জানান, অধ্যক্ষ তাঁর দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু আদালতের ভাবনা পৃথক। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ অগাস্ট৷