টাকা দিয়েও চাকরি না হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুই নেতাকে বেধড়ক মারধর করলেন চাকরীপ্রার্থীরা। চাকরীপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন শতাধিক গ্রামবাসীও। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জের বিরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকধুয়া জামবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুব্রত সরকারের মধ্যস্থতায় দুদিনের মধ্যে চাকরীপ্রার্থীদের টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলে অভিযুক্ত দুই নেতা মুক্তি পান।
উপপ্রধান রফিকুল আলম বলেন, ভাদ্রু বর্মন ও তিলক দাস নামে দুই যুবক চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু চাকরি কাউকে দেওয়া হয়নি। সেজন্য কমলাই গ্রামের বেশ কিছু যুবক বিধায়কের কার্যালয়ে গিয়ে ওই দুই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপর চলে মারধর। পরে সুব্রত সরকারের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে শুনেছি।
ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ একাধিক মামলার তদন্তে সিবিআই। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে। এমনকি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে। দুর্নীতির শিকড় অবধি পৌঁছাতে মামলাকারীদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই। এরই মধ্যে জেলায় জেলায় এই ধরনের ঘটনা শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।