৯০ শতাংশ রাস্তাই বেহাল, চরম সমস্যায় মানুষ

রাস্তা আছে অথচ পিচ নেই। তার ওপর বৃষ্টি হলে কথাই নেই। পুর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার খুবই বেহাল দশা। সম্প্রতি বর্ষায় রাস্তার ওপর জল জমায়…

রাস্তা আছে অথচ পিচ নেই। তার ওপর বৃষ্টি হলে কথাই নেই। পুর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার খুবই বেহাল দশা। সম্প্রতি বর্ষায় রাস্তার ওপর জল জমায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষার জল নামতেই রাস্তার ছয় ইঞ্চি গভীরে থাকা বড় বড় পাথরের টুকরো বেরিয়ে আসছে। এমনই করুণ চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়ি পুরসভার অর্ধেকের বেশি ওয়ার্ডে।

পুরসভার ২, ৩, ১৪, ২০, ২১, ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার সমস্যা সব থেকে বেশি রয়েছে। অন্যদিকে, টেন্ডার ডেকেও পুর কর্তৃপক্ষের লাভ হচ্ছে না। ঠিকাদারদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া থাকায় তাঁরা একজোট হয়ে কেউই টেন্ডারে অংশ নিচ্ছেন না। পুরসভার ভাঁড়ার শূন্য থাকায় কর্তপক্ষের শিরেসংক্রান্তি অবস্থা। ভোটের পরে প্রতিশ্রুতিমতো একটি কাজও সঠিকভাবে শুরু করতে না পারায় কাউন্সিলারদের প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পুরসভার পূর্ত বিভাগের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, কাউন্সিলারদের তরফে তাঁদের নিজ নিজ এলাকার রাস্তা তৈরির আবেদন এসেছে। বর্ষার মধ্যে জল জমায় কিছু রাস্তা আরও বেশি খারাপ হয়েছে এটা ঠিক।

দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃষ্টি একটু কমলেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করতে আমরা চেষ্টা করছি।জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার রাস্তাগুলির মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সব থেকে শোচনীয় অবস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের ৯০ শতাংশ রাস্তাই বেহাল। বিরোধীদের অভিযোগ, ওয়ার্ড দীর্ঘ বছর কংগ্রেসের দখলে থাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ডের কাছে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ওয়ার্ডের নাগরিকরা যার ভুক্তভোগী। ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ভোটে জিতে সবার আগে কাজ হবে রাস্তা তৈরি করা বলে বর্তমানে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু পুরসভার অর্থসংকট পরিস্থিতিতে তা আর হল কোথায়।