আমাকে শুধুমাত্র একজন পিওন মারফত ফোন করে জানানো হচ্ছে। অথচ আমাকে জেলার নেতারা কেউ জানাল না। আমি একজন বর্ষীয়ান বিধায়ক। আমি ১১ বারের বিধায়ক। ২২ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি। আমার কোনও সম্মান নেই! ৫৪ বছরের বিধায়ককে এভাবে অসম্মান করা ঠিক হয়নি। এমনই ক্ষোভ দেখালেন (Islampur) ইসলামপুরের TMC বিধায়ক (Abdul Karim Chowdhury) আবদুল করিম চৌধুরী। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার আগেই বিধায়কের ক্ষোভ তুঙ্গে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলে নবজোয়ার সভা উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। রবিবার সভা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। সভাস্থল থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়িতে বসেই অভিষেকের সভা বয়কট করলেন বিধায়ক।
তিনি বলেন, আমাকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা নেতৃত্বের তরফে কেউ জানাননি। অভিষেকের অফিস থেকে একজন ফোন করে জানিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল এরকম সভা রয়েছে যেতে হবে। কিন্তু আমি আজ থেকে প্রায় ২ মাস ধরে নিজেকে বিদ্রোহী বিধায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, যে নেতার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য, সেই নেতাকে ব্লক সভাপতি করা হল। আমি বলেছিলাম, এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী নেতাকে আমরা চাই না। বিধায়কের অভিযোগ, তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকেই খুন করেছে তৃণমূলের অপর পক্ষ।
আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে আসতে পারেন এই খবর পুলিশ মারফত তিনি পেয়েছিলেন। এমনকি গোটা এলাকা পুলিশ রেকি করার পর তিনি রেড কার্পেট দিয়ে বিছিয়ে রেখেছিলেন নেতাকে স্বাগত জানাবেন বলে। তিনি জানান দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। যদি দল আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নেবে।
তিনি বলেন, এত বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে রয়েছি অথচ কোনও সম্মান নেই। আমি আগেই বলেছিলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় চেনে না। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি না। দল এরপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।