Naxalbari: ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ গরীব কৃষকদের জন্য জমি দখল বাম সংগঠনের

তেভাগা কৃষক আন্দোলন ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর -এ শুরু হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলেছিন। তিনভাগ জমির ফসলের দাবিতে এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ স্লোগান…

তেভাগা কৃষক আন্দোলন ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর -এ শুরু হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলেছিন। তিনভাগ জমির ফসলের দাবিতে এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ স্লোগান ব্যবহার করে বহু বামপন্থী ও অতিবামপন্থী সংগঠন। ইতিহাসের সেই একই দৃশ্য এবার ফের ধরা পড়ল দার্জিলিং জেলার (Naxalbari) নকশালবাড়িতে।

একদা সশস্ত্র কৃষক আন্দোলনের কেন্দ্র নকশালবাড়িতে ফের শোনা গেল বাম কৃষক সংগঠনের পুরনো স্লোগান, ‘লাঙ্গল যার জমি তার’। লাল ঝান্ডা হাতে ভারত-নেপাল সীমান্তে প্রায় ৯৯ বিঘা জমি দখল করল বড় মনিরাম জোত বর্গা উচ্ছেদ বিরোধী কৃষক কমিটি। বামপন্থী এই সংগঠনগুলি অভিযোগ করে যে, তাদের অধিগৃহীত জমি বর্গাদারদের ঠকিয়ে পুরানো জোতদারদের উত্তরাধিকারীরা কলকাতার কিছু পুঁজিপতির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

   

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমার অধীন ভারত নেপাল সীমান্ত নকশালবাড়ি ব্লকের বড় মণিরাম জোতে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মেচি নদীর ৯৯ বিঘা জমি দখল করল বড় মনিরাম জোত বর্গা উচ্ছেদ বিরোধী কৃষক কমিটি। এই কমিটিতে বেশ কিছু দল আজ যোগদান করে। সেখানে রয়েছে, সিপিআইএম, সারা ভারত কৃষক সভা, সারাভারত কৃষক মজদুর সভা সহ মোট ৭টি বামপন্থী সংগঠন। প্রায় দেড়শো বামপন্থী সমর্থক লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে ছুটে আসে।

Advertisements

এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, আমরা প্রায় ৫৭ জন বর্গাদার বড়মনিরাম জোত এলাকায় মেচির পাড়ে প্রায় ৯৯ বিঘা খতিয়ানভূক্ত জমিতে চাষাবাদ করতাম। আমাদের ঠকিয়ে রেখে জোতদারদের ওয়ারিশরা কোলকাতার কিছু পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করে দেয়। আমরা তাদের কাছে অনেক অনুরোধ করার পরেও জমির অধিকার ফেরত পাইনি।

তিনি আরো বলেন, “তাই আজ আমরা বড় মনিরাম জোতের বর্গা উচ্ছেদ কৃষক কমিটি সেই জমিতে ঝান্ডা পুঁতে জমির দখল করি। এর সঙ্গে আজ আমরা ডাল চাষ শুরু করেছি। এবং আমার সকলের চাষ করার অধিকার ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি”।