Jalpaiguri: তিস্তায় তল্লাশি চলছে, সিকিম থেকে মৃতদেহ ভেসে আসছে ময়নাগুড়িতে

তিস্তার নিম্নাঞ্চল জলপাইগুড়িতেও (Jalpaiguri) স্রোতের প্রবল টান। তার মধ্যে চলছে তল্লাশি। জেলার ময়নাগুড়ির দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল সিকিম থেকে ভেসে আসা ৭ জনের…

তিস্তার নিম্নাঞ্চল জলপাইগুড়িতেও (Jalpaiguri) স্রোতের প্রবল টান। তার মধ্যে চলছে তল্লাশি। জেলার ময়নাগুড়ির দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল সিকিম থেকে ভেসে আসা ৭ জনের দেহ। এরমধ্যে ৬ জন পুরুষ ও একজন মহিলা। উদ্ধার করা দেহগুলির মধ্যে সেনা জওয়ানদের দেহ রয়েছে। এদিন তিস্তায় জল খানিকটা কমতেই দেহ-গুলি দেখা যায়।সঙ্গে সঙ্গে দেহগুলি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসেন বিএসএফ ও পুলিশের কর্তারা। নদীর অবস্থা এমন যে সেখানে স্পিড বোট নামানো সম্ভব হয়নি, তাই সেখানে নৌকো করে দেহগুলি উদ্ধার করে চরে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে, দেহগুলি সবকটি সিকিম হড়পায় নিখোঁজদের। আর কোনো দেহ এলাকায় রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে চলছে তল্লাশি।

তিস্তার বন্যায় নিম্নাঞ্চল জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের বিস্তির্ণ অংশে জারি হয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে সিকিমে ফের বৃষ্টির কারণে তিস্তার জল আরও বাড়ছে। উল্লেখ্য, উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে জলোচ্ছাসের জেরে বহু মানুষ ভেসে যান। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হড়পা বানে তছনছ উত্তর সিকিমের একাংশ। নিখোঁজ সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। আটকে বহু পর্যটক।

উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে আটকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক। তার মধ্যে রয়েছেন বাঙালীরাও। আবহাওয়ার উন্নতি হলে চপার নামানোর পরিকল্পনা সিকিম প্রশাসনের। কোন পথে যোগাযোগ জানাচ্ছেন ট্যুর অপারেটরেরা। হেল্প লাইনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কোন কোন জেলার পর্যটকেরা আটকে তারও তথ্য তুলে ধরেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ট্যুর অপারেটরেরা। জানা গেছে, প্রশাসন এবং ট্যুর অপারেটরদের তরফে ভোলা হেল্পলাইন নম্বরে বহু পর্যটকের পরিবার পরিজন সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাগুলিতে আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে। যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেই কারণে বুধবার রাত্রি পর্যন্ত আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি।

উত্তরের পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। সেখানে ২০০০ বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০,০০০ মানুষ বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্যোগের রোষে পড়েছেন। ১৪ জন মৃত, সেনা সহ শতাধিক নিখোঁজ। এমনকি সেখানে নিত্যসামগ্রীর আকাল দেখা গেছে। সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। গ্যাংটক অঞ্চলে গ্যাস সিলিন্ডারের ঘাটতি রয়েছে, বাচ্চাদের খাদ্যদ্রব্য যেমন-দুধ-এর সংকট তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, সেখানকার পেট্রোল পাম্পগুলি তেল শূন্য।