শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন পরেশ৷ এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার আরও এক তৃণমূলের নেতাকে সরিয়ে দিল শিক্ষা দফতর। কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল হিতেন বর্মনকে৷
সূত্রের খবর, কিছু মাস আগেই ওই পদে হিতেন বর্মনকে বসানো হয়েছিল। এরই মধ্যে একাধিক দুর্নীতি নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের৷ সিবিআই হাজিরা দিতে হয়েছে জেলারই তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। তারই মধ্যে কেন হিতেন বর্মনকে সরিয়ে দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
সম্প্রতি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট । সভাপতি পদ সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সচিবকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৬৯ জন কর্মরত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ঘটনায় জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের নাম প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। মাকড়সার জালের মতো বিস্তৃত শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতি খুব শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসতে চলেছে।