মমতা হিজাব পরে নিজের সরকারি মুখ ঢেকেছেন: মহম্মদ সেলিম

মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর সরকারি পদ ধর্মীয় আবরণে ঢেকে রেখেছেন। এমনই অভিযোগ সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিমের। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)…

মমতা হিজাব পরে নিজের সরকারি মুখ ঢেকেছেন: মহম্মদ সেলিম

মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর সরকারি পদ ধর্মীয় আবরণে ঢেকে রেখেছেন। এমনই অভিযোগ সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক (Md Salim) মহম্মদ সেলিমের। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) দলীয় সমাবেশ থেকে সেলিমের এই আক্রমণে রাজনৈতিক মহল সরগরম।

জলপাইগুড়িতে সেলিম বলেন, চোর, ডাকাত, লুঠেরারা চুরি বা লুঠ করে নিজেদের জন্য। আর সামনে রাখে ধর্মের বর্ম। ওদিকে বিজেপি এই কাজ করছে। আদানি আম্বানির সম্পদ বাড়ছে। গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। এদিকে মমতা হিজাব পরে নিজের সরকারি মুখটা ঢাকার চেষ্টা করছেন।

মমতা হিজাব পরে নিজের সরকারি মুখ ঢেকেছেন: মহম্মদ সেলিম

সেলিমের ইঙ্গিত সংখ্যালঘু ভোট টানতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় আবরণ নিয়েছেন। তিনি রাজ্যে তৃ়ণমূল কংগ্রেসের আমলে বিজেপির ধর্মীয় তাস খেলার অভিযোগ করেছেন।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি জারি রেখেছে সিপিআইএম। শুক্রবার ১০০ দিনের কাজ, ন্যায্য মজুরি, পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ অভিযানে ধুন্ধুমার হয়ে গেল। জলপাইগুড়িতে জেলা শাসকের দফতরে অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র আকার নেয়।

মমতা হিজাব পরে নিজের সরকারি মুখ ঢেকেছেন: মহম্মদ সেলিম

Advertisements

ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলও রোখার চেষ্টা করে পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। পরে পুলিশের সঙ্গে সিপিআইএম সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। চোরেদের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়িও আছে। জানিয়ে দেন তিনি।

শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি সিপিআইএমের মিছিল আটোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। প্রতিবারই ব্যারিকেড ভাঙছে বাম সমর্থকরা।

গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ছিল গেরুয়া ঝড়। বিধানসভা নির্বাচনে ড্যামেজ কন্ট্রোল করেছিল তৃণমূল। আর পুরভোটের পর থেকে আবার বাম শিবির সেই জায়গা দিরে পেতেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাম শিবির ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।

যদিও এই মুহুর্তে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ বাম নেতারাই। তাঁদের কথায়, আপাতত শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জায়গা দখল করেই নেওয়াই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।