হাতির হানা স্কুলসহ বাড়িতে, বুদ্ধির জোরে প্রাণে বাঁচালেন স্ত্রীকে

আলিপরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি: ফের খাবারের খোঁজে লোকালয়ে গজরাজ৷ বিদ্যালয়, মুদির দোকান সহ বাড়িতে হামলা চালাল হাতি৷ বিদ্যালয় ও মুদির দোকানের ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের লাটাগুড়ি জঙ্গল…

elephant

আলিপরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি: ফের খাবারের খোঁজে লোকালয়ে গজরাজ৷ বিদ্যালয়, মুদির দোকান সহ বাড়িতে হামলা চালাল হাতি৷ বিদ্যালয় ও মুদির দোকানের ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের লাটাগুড়ি জঙ্গল সংলগ্ন ছাওয়াফেলিতে৷ অন্যদিকে, বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনাটি রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তা দাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ললিতা বাড়ি গ্রামে৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে একটি হাতি বেরিয়ে আসে ছাওয়াফেলি এলাকায়৷ হাতিটি প্রথমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালায়৷ সেখানে গিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়৷ এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে চিৎকার করলে হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়৷

এরপর ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি মুদির দোকানে হামলা চালায় ওই হাতিটি৷ সাবার করে দেয় মজুত চাল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য৷ মুদির দোকানের মালিক পিংকু লাকড়া বলেন, “এই নিয়ে সাতবার দোকানে হামলা চালালো হাতি৷ দোকানের দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকার সামগ্রী নষ্ট করেছে হাতিটি৷’’

অন্যদিকে, রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তা দাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ললিতা বাড়ি গ্রামে সুশান্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় গজরাজ৷ বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে শুরু করে বুনো হাতিটা৷ ভেঙে ফেলে ঘর৷ পালাতে গেলেও শুঁড় দিয়ে সুশান্তর স্ত্রীকে পেঁচিয়ে ফেলে হাতিটা৷ কোনও মতে হাতির হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচিয়ে নেন স্বামী৷ তড়িঘড়ি দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা৷

যদিও হাতির হামলায় সুশান্ত ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই রীতিমতো আঘাত পেয়েছেন৷ ঘরে থাকা সমস্ত খাবার খেয়ে ফের জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটা৷ বনকর্মীদের তরফে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ দিনের পর দিন এলাকায় হাতির হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা৷ হাতির হানা রুখতে বনদফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী৷