নাড়ুর গন্ধে হাতির হানা, সাবাড় করল চাল-ডালও

উত্তরবঙ্গে ফের হাতির হানা৷ রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ গজরাজের৷ দোকান সহ বাড়িতে ঢুকে নাড়ু, চাল ও ডাল করল সাবার৷ ঘটনাদুটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট…

elephant

উত্তরবঙ্গে ফের হাতির হানা৷ রাতের অন্ধকারে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ গজরাজের৷ দোকান সহ বাড়িতে ঢুকে নাড়ু, চাল ও ডাল করল সাবার৷ ঘটনাদুটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট মেঘনাদ সাহা নগরে ও বানারহাট কলোনিতে৷ যদিও এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই৷

জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে খাবারের খোঁজে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাদারিহাট মেঘনাদ সাহা নগরে একটি মুদির দোকানে হানা দেয় হাতি৷ দোকান ভেঙে সাবার করে চাল, ডাল, চিনি সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী৷ শুধু তাই নয় দোকানের ভিতরে থাকা ফ্রিজ ও শোকেস ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে গজরাজ৷

রবিবার দোকান খুলতে গিয়ে দোকানদার কেশবলাল শর্মা দেখেন হামলা চালিয়েছে হাতি৷ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কেশবলাল জানান, এই নিয়ে তাঁর দোকান চারবার ভাঙল হাতি৷ কিন্তু বনদফতর কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ লাগাতার হাতির হানায় ক্ষুব্ধ দোকান মালিক সহ স্থানীয় বাসিন্দারা৷

অন্যদিকে, শনিবার রাতেই বানারহাট কলোনির একটি বাড়িতে হানা দেয় হাতি৷ টিনের বাড়ি ভেঙে সাবার করে ঘরে থাকা আনাজ ও নাড়ু৷ এদিন মোরাঘাট জঙ্গল থেকে এক পাল হাতি বেরিয়ে ১৭নং জাতীয় সড়ক পার করে লোকালয়ে চলে আসে৷ সেখান থেকেই একটি হাতি বানারহাট ২ নং কলোনীর বাসিন্দা ননী গোপাল মোহন্তর বাড়িতে ঢুকে পরে৷

সেই সময়ে রান্না ঘরে চলছিল নাড়ু বানানোর কাজ৷ গন্ধ পেয়ে নাড়ুর লোভেই হাতিটি টিনের বেড়া ভেদ করে আধা ইটের দেওয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকে পরে৷ ঘরের মধ্যে এই বিশাল হাতিকে দেখে চিৎকার শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা৷ কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন তাঁরা৷ স্থানীয়রা বনদফতরে খবর দেয়৷ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিটিকে তাড়িয়ে ফের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়৷